ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

শাহবাগে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান, পুলিশের জলকামান নিক্ষেপ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে, বিশেষ করে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরি হারানো বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিচ্যুতরা। তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার রাজধানীর শাহবাগে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সকাল থেকেই জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমবেত হন এসব সাবেক সদস্য। সেখানে তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, ১৬ বছর ধরে কারাবন্দী নিরপরাধ সহকর্মীদের মুক্তি এবং ‘বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)’ নামটি পুনর্বহালের দাবি তোলেন।

দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। অবস্থান কর্মসূচির পর সকাল ১১টার দিকে তারা পদযাত্রার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থেকে যমুনার দিকে অগ্রসর হলে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজার হাজার বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। এতে তাদের পরিবার চরম মানবেতর অবস্থায় পড়েছে। তারা পুনর্বহাল ছাড়া অন্য কোনো সমাধান মানবেন না বলে জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিচারহীনতার কারণে তারা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকে বিনা দোষে কারাবন্দী হয়ে জীবন শেষ করে ফেলেছেন। তাই দ্রুত নিরপরাধদের মুক্তি এবং চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা জনদুর্ভোগ এড়াতে বাধ্য হয়ে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহবাগে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান, পুলিশের জলকামান নিক্ষেপ

আপডেট সময় ০১:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে, বিশেষ করে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরি হারানো বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিচ্যুতরা। তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার রাজধানীর শাহবাগে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সকাল থেকেই জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমবেত হন এসব সাবেক সদস্য। সেখানে তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, ১৬ বছর ধরে কারাবন্দী নিরপরাধ সহকর্মীদের মুক্তি এবং ‘বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)’ নামটি পুনর্বহালের দাবি তোলেন।

দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। অবস্থান কর্মসূচির পর সকাল ১১টার দিকে তারা পদযাত্রার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থেকে যমুনার দিকে অগ্রসর হলে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজার হাজার বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। এতে তাদের পরিবার চরম মানবেতর অবস্থায় পড়েছে। তারা পুনর্বহাল ছাড়া অন্য কোনো সমাধান মানবেন না বলে জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিচারহীনতার কারণে তারা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকে বিনা দোষে কারাবন্দী হয়ে জীবন শেষ করে ফেলেছেন। তাই দ্রুত নিরপরাধদের মুক্তি এবং চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা জনদুর্ভোগ এড়াতে বাধ্য হয়ে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।