ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে আস্থাকে মানবিকতার প্রতীক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, অবৈধ ও অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বারবার জনরোষের মুখোমুখি হয়েছে এবং অনেক সৎ সদস্যকে এর মূল্য দিতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, “গত ১৫ বছরে পুলিশকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আজ আমাদের লক্ষ্য হলো পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাতে পুলিশ জনগণের নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে ওঠে।” তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক, আর জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব ছিল ব্যাপক। সরকারের জরুরি পদক্ষেপ ও সংস্কারের ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রাজারবাগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাঙালি পুলিশ সদস্যদের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করে শহিদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুনর্গঠনের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “সড়ক-মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা হ্রাস, অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশের কাজ কেবল অপরাধ দমন নয়; এটি ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বাহিনীকে আরও মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।”

সম্প্রতি দুর্গাপূজা, বিশ্ব ইজতেমা, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের মতো বড় উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পুলিশের নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “প্রতিটি অপরাধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে এখন পুলিশ আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুলিশ বাহিনী একটি বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দেবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণতন্ত্র, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পথে আমাদের অভিযাত্রায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই হবে প্রথম সারির যোদ্ধা।”

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশকে আস্থাকে মানবিকতার প্রতীক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, অবৈধ ও অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বারবার জনরোষের মুখোমুখি হয়েছে এবং অনেক সৎ সদস্যকে এর মূল্য দিতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, “গত ১৫ বছরে পুলিশকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আজ আমাদের লক্ষ্য হলো পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাতে পুলিশ জনগণের নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে ওঠে।” তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক, আর জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব ছিল ব্যাপক। সরকারের জরুরি পদক্ষেপ ও সংস্কারের ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রাজারবাগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাঙালি পুলিশ সদস্যদের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করে শহিদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুনর্গঠনের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “সড়ক-মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা হ্রাস, অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশের কাজ কেবল অপরাধ দমন নয়; এটি ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বাহিনীকে আরও মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।”

সম্প্রতি দুর্গাপূজা, বিশ্ব ইজতেমা, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের মতো বড় উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পুলিশের নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “প্রতিটি অপরাধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে এখন পুলিশ আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুলিশ বাহিনী একটি বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দেবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গণতন্ত্র, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পথে আমাদের অভিযাত্রায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই হবে প্রথম সারির যোদ্ধা।”