ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

১৭ বছর পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত কিংবদন্তি নায়ক মান্নার সিনেমা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ সিনেমা হলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা ‘দুই দিনের দুনিয়া’। বজলুর রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালের ২৩ মে। তখন সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতা পেয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘ সময় পর আবার মুক্তি পেলেও এটি দর্শক টানতে পারবে কিনা, সেটাই এখন প্রশ্ন।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন সিনেমাগুলো তেমন দর্শক টানতে পারছে না। অনেক হল মালিকই এখন পুরনো সফল সিনেমাগুলোর পুনঃপ্রদর্শনীতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। হল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘‘মান্নার সিনেমার প্রতি মানুষের এখনো আগ্রহ রয়েছে। তার ছবি চালালে কিছু দর্শক অন্তত হলে আসেন। নতুন সিনেমার অভাবে আমরা বাধ্য হয়েই পুরনো ছবি চালাচ্ছি। শুক্রবার থেকে ‘দুই দিনের দুনিয়া’ প্রদর্শিত হচ্ছে, প্রথম দুই দিন ভালোই সাড়া পেয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক মান্নার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তবুও তার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি, বরং দর্শকের স্মৃতিতে তিনি আজও অমলিন।

মান্নার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘তওবা’ সিনেমার মাধ্যমে, তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ‘পাগলি’। কিন্তু দর্শকের নজর কাড়েন ১৯৯১ সালে ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাস’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘অন্ধ প্রেম’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’-এর মতো জনপ্রিয় ছবির মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। বিশেষ করে ‘আম্মাজান’, ‘কে আমার বাবা’, ‘লাল বাদশা’সহ অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়ে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সুপারস্টার হয়ে ওঠেন।

মান্নার সিনেমাগুলো শুধুই বিনোদন নয়, বরং সমাজের বাস্তব চিত্রও ফুটিয়ে তুলেছে। তার স্টাইল, সংলাপ ও অ্যাকশন সিন আজও দর্শকদের মনে দাগ কেটে আছে। হল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ কি দর্শকদের হলে ফেরাতে পারবে? সময়ই বলে দেবে। তবে মান্নার প্রতি ভালোবাসা ও স্মৃতিচারণায় এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

১৭ বছর পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত কিংবদন্তি নায়ক মান্নার সিনেমা

আপডেট সময় ০৫:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ সিনেমা হলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা ‘দুই দিনের দুনিয়া’। বজলুর রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালের ২৩ মে। তখন সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতা পেয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘ সময় পর আবার মুক্তি পেলেও এটি দর্শক টানতে পারবে কিনা, সেটাই এখন প্রশ্ন।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন সিনেমাগুলো তেমন দর্শক টানতে পারছে না। অনেক হল মালিকই এখন পুরনো সফল সিনেমাগুলোর পুনঃপ্রদর্শনীতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। হল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘‘মান্নার সিনেমার প্রতি মানুষের এখনো আগ্রহ রয়েছে। তার ছবি চালালে কিছু দর্শক অন্তত হলে আসেন। নতুন সিনেমার অভাবে আমরা বাধ্য হয়েই পুরনো ছবি চালাচ্ছি। শুক্রবার থেকে ‘দুই দিনের দুনিয়া’ প্রদর্শিত হচ্ছে, প্রথম দুই দিন ভালোই সাড়া পেয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক মান্নার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তবুও তার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি, বরং দর্শকের স্মৃতিতে তিনি আজও অমলিন।

মান্নার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘তওবা’ সিনেমার মাধ্যমে, তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ‘পাগলি’। কিন্তু দর্শকের নজর কাড়েন ১৯৯১ সালে ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাস’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘অন্ধ প্রেম’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’-এর মতো জনপ্রিয় ছবির মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। বিশেষ করে ‘আম্মাজান’, ‘কে আমার বাবা’, ‘লাল বাদশা’সহ অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়ে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সুপারস্টার হয়ে ওঠেন।

মান্নার সিনেমাগুলো শুধুই বিনোদন নয়, বরং সমাজের বাস্তব চিত্রও ফুটিয়ে তুলেছে। তার স্টাইল, সংলাপ ও অ্যাকশন সিন আজও দর্শকদের মনে দাগ কেটে আছে। হল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ কি দর্শকদের হলে ফেরাতে পারবে? সময়ই বলে দেবে। তবে মান্নার প্রতি ভালোবাসা ও স্মৃতিচারণায় এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ।