ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে করতে কুষ্টিয়ায় চীনা যুবক

- আপডেট সময় ০৭:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / 5
পাঁচ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শি জিং ইউ (২৮) নামের এক চীনা যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় কুষ্টিয়ার কলেজছাত্রী বৃষ্টির (২১)। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই চীনা যুবক বাংলাদেশে এসে নিজ ধর্ম পরিবর্তন করে বৃষ্টিকে বিয়ে করেছেন। এখন তার নাম সোহান আহাম্মেদ।
কলেজছাত্রী বৃষ্টি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর উত্তরপাড়ার মোতালেব মিস্ত্রির মেয়ে। তিনি সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বৃষ্টির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শি জিং ইউ। পরদিন রোববার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগরে প্রেমিকা বৃষ্টির বাড়িতে পৌঁছান তিনি।
ওই দিনই মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয় তাদের। এর আগে আইন অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন শি জিং। তার নতুন নাম সোহান আহাম্মেদ। জানা যায়, শি জিং ইউ চায়নার হেনান অঞ্চলের শি লিং জাং ও জুয়ে চুন সুই দম্পতির ছেলে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খাজানগর উত্তরপাড়ার মোতালেব মিস্ত্রির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক মানুষের ভিড়। বিদেশি জামাইকে নিয়ে বেশ হাসিখুশি দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের।
এ সময় বৃষ্টি বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে ফেসবুকে শি জিং ইউয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শি জিং ইউ বাংলাদেশে আসতে চাইলে আমি তাকে আসতে বলি। এরপর সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।’
বৃষ্টি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি চায়না ভাষা বুঝি না, তাই ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করতাম। তার পরিবারের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। উভয় পরিবারের সম্মতিতে এই বিয়ে। এতে আমি ও আমার পরিবার খুশি। শি জিং ইউ তার সঙ্গে আমাকে চায়না নিয়ে যেতে চেয়েছে।’
শি জিং ইউ জানান, মা-বাবা ও তিন ভাই মিলে তাদের পরিবারে পাঁচজন সদস্য। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
বৃষ্টির বাবা মোতালেব মিস্ত্রি বলেন, ‘আমরা সবাই খুশি। ছেলের বিষয়ে আমার মেয়ে ও জামাইয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। যতটুকু জানতে পেরেছি, জামাইরা তিন ভাই। জামাইও চাকরি করে। তার এক ভাই সেনাবাহিনীতে আছে। তার বাবার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।’