০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 149

ছবি সংগৃহীত

 

 

চলতি বছরের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০টি স্কুলে ই-লার্নিং কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো হলো বিদ্যুৎ সংকট, ইন্টারনেট সংযোগের অপ্রতুলতা এবং দক্ষ শিক্ষকের অভাব।

প্রধান উপদেষ্টা এ সমস্যার সমাধানে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে অনলাইন সংযোগ জোরদার করার দিকেও গুরুত্ব দেন।

দক্ষ শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় তিনি স্কুলের তালিকা তৈরি করে সেখানে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রথমেই ১০০টি স্কুল চিহ্নিত করতে হবে যেখানে ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব। কোন স্কুলে কী ধরনের ঘাটতি রয়েছে — ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ বা অন্য সরঞ্জাম — তা তালিকাভুক্ত করে দ্রুত কার্যক্রম শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। এ বছরের মধ্যেই ক্লাস চালু করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব দক্ষ শিক্ষক শহরের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা অনলাইনে পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি শেখাবেন। এতে পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে থাকবে না। ভালো শিক্ষক ও সুযোগ-সুবিধা পেলে এখান থেকেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী উঠে আসবে।”

বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা তিন পার্বত্য জেলায় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

চলতি বছরের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০টি স্কুলে ই-লার্নিং কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো হলো বিদ্যুৎ সংকট, ইন্টারনেট সংযোগের অপ্রতুলতা এবং দক্ষ শিক্ষকের অভাব।

প্রধান উপদেষ্টা এ সমস্যার সমাধানে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে অনলাইন সংযোগ জোরদার করার দিকেও গুরুত্ব দেন।

দক্ষ শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় তিনি স্কুলের তালিকা তৈরি করে সেখানে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রথমেই ১০০টি স্কুল চিহ্নিত করতে হবে যেখানে ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব। কোন স্কুলে কী ধরনের ঘাটতি রয়েছে — ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ বা অন্য সরঞ্জাম — তা তালিকাভুক্ত করে দ্রুত কার্যক্রম শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। এ বছরের মধ্যেই ক্লাস চালু করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব দক্ষ শিক্ষক শহরের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা অনলাইনে পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি শেখাবেন। এতে পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে থাকবে না। ভালো শিক্ষক ও সুযোগ-সুবিধা পেলে এখান থেকেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী উঠে আসবে।”

বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা তিন পার্বত্য জেলায় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।