ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার উদ্যোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকদের শুরুর বেতন গ্রেড হবে ১২তম এবং প্রধান শিক্ষকদের জন্য তা হবে ১০তম।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’র সুপারিশ এবং আদালতের রায়ের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বেতনস্কেল উন্নীতকরণের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে, যাতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত গ্রেড অন্তর্ভুক্ত করা যায়। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অধিদপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তবে, শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, তাঁরা ১১তম গ্রেডের দাবি পূরণ না হলে এই প্রস্তাব মানবেন না। তাঁদের তিন দফা দাবির মধ্যে এটি প্রধান এবং তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের ১০ম গ্রেড এবং দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এ দাবি শুধু রিটকারী নয়, সকল প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩তম (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা, সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা)।

পরামর্শক কমিটি গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে শুধুমাত্র ‘শিক্ষক’ পদ চালু করা। এই পদে শুরুর বেতন গ্রেড হবে ১২তম (মূল বেতন ১১ হাজার ৩০০ টাকা)। চাকরি স্থায়ী হওয়ার দুই বছর পর এই শিক্ষকরা হবেন ‘সিনিয়র শিক্ষক’, তখন তাঁদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০তম গ্রেডের সুপারিশ করা হয়েছে এবং উচ্চ আদালতের রায়েও তা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৭:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকদের শুরুর বেতন গ্রেড হবে ১২তম এবং প্রধান শিক্ষকদের জন্য তা হবে ১০তম।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’র সুপারিশ এবং আদালতের রায়ের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বেতনস্কেল উন্নীতকরণের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে, যাতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত গ্রেড অন্তর্ভুক্ত করা যায়। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অধিদপ্তরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তবে, শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, তাঁরা ১১তম গ্রেডের দাবি পূরণ না হলে এই প্রস্তাব মানবেন না। তাঁদের তিন দফা দাবির মধ্যে এটি প্রধান এবং তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের ১০ম গ্রেড এবং দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এ দাবি শুধু রিটকারী নয়, সকল প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩তম (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা, সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা)।

পরামর্শক কমিটি গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে শুধুমাত্র ‘শিক্ষক’ পদ চালু করা। এই পদে শুরুর বেতন গ্রেড হবে ১২তম (মূল বেতন ১১ হাজার ৩০০ টাকা)। চাকরি স্থায়ী হওয়ার দুই বছর পর এই শিক্ষকরা হবেন ‘সিনিয়র শিক্ষক’, তখন তাঁদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০তম গ্রেডের সুপারিশ করা হয়েছে এবং উচ্চ আদালতের রায়েও তা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।