ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু, কিন্তু পাঠ্যবই সংকটে শিক্ষার্থীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু, কিন্তু পাঠ্যবই সংকটে শিক্ষার্থীরা

 

নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এখনও প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বই ছাপার কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রয়োজন ছিল ৪০ কোটি ১৬ লাখ কপি পাঠ্যবই। তবে এপর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি বই ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ কোটি বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩৩ কোটি বই এখনও ছাপার কাজ শেষ হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীকে সব বই দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এখনো দেশের বিভিন্ন ছাপাখানায় বিরামহীন চলছে কাজ এনসিটিবি জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব শিক্ষার্থীর হাতে অন্ততপক্ষে তিনটি করে বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দেওয়া হয়েছে। তবে, বই ছাপানোর কাজের বর্তমান অবস্থা দেখে এই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ লাখ কপি বই ছাপার সক্ষমতা রাখলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে সব বই বিতরণ শেষ হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে যায়। এর ফলে, এক যুগ আগে তৈরি পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছরের জন্য ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছে এনসিটিবি। এর মধ্যে বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মতো বিষয়বস্তু নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলে বইয়ের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু, কিন্তু পাঠ্যবই সংকটে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ১২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

 

নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এখনও প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বই ছাপার কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রয়োজন ছিল ৪০ কোটি ১৬ লাখ কপি পাঠ্যবই। তবে এপর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি বই ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ কোটি বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩৩ কোটি বই এখনও ছাপার কাজ শেষ হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীকে সব বই দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এখনো দেশের বিভিন্ন ছাপাখানায় বিরামহীন চলছে কাজ এনসিটিবি জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব শিক্ষার্থীর হাতে অন্ততপক্ষে তিনটি করে বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দেওয়া হয়েছে। তবে, বই ছাপানোর কাজের বর্তমান অবস্থা দেখে এই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ লাখ কপি বই ছাপার সক্ষমতা রাখলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে সব বই বিতরণ শেষ হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে যায়। এর ফলে, এক যুগ আগে তৈরি পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছরের জন্য ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছে এনসিটিবি। এর মধ্যে বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মতো বিষয়বস্তু নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলে বইয়ের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে।