ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯ দফা সংস্কারে ইসির দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন ইসি সচিব ঈদে বাড়বে যৌথবাহিনীর তৎপরতা, অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা  বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা ভুতুড়ে টিআরপিতে বিপাকে টিভি চ্যানেল, জবাবদিহির দাবি গণমাধ্যম কমিশনের তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

ধরলা তীরের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলল, সোনার ফসলে কৃষকের হাসি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

 

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর তীরবর্তী পতিত জমিগুলো যেন এখন স্বর্ণক্ষেত্র। আগে যেখানে কোনো ফসল হতো না, এখন সেখানে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। আর সেই কুমড়াই বদলে দিচ্ছে কৃষকদের ভাগ্য। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বিনা মূল্যের বীজে এবার আশাতীত ফলনে খুশি স্থানীয় চাষিরা।

পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ। নদীর পলিমাটিতে চাষ হওয়া গাছে ধরেছে গড়ে পাঁচ থেকে দশটি কুমড়া। প্রতিটি কুমড়ার ওজন প্রায় পাঁচ থেকে সাত কেজি। বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো লাভ করছেন চাষিরা।

চাষি সাফিউল ইসলাম বলেন, “ধরলা নদীর পাড়ের কাদা মাটিতে বীজ রোপণ করেই এমন ফলন পেয়েছি। এক-দুই মাসের মধ্যেই কুমড়া তুলবো। বর্ষাকালে বাজারে তুললে আরও ভালো দাম পাব।”

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি রবি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে কুমড়া চাষ হয়েছে প্রায় ৩০০ হেক্টরে। এতে বোঝা যাচ্ছে কৃষকদের আগ্রহ কতটা বেড়েছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও তারা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি উপসহকারী শাহিনুর রহমান বলেন, “আমরা চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ দিয়েছি, পরামর্শ দিয়েছি। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫-১০টি কুমড়া ধরেছে। এটা তাদের জীবিকায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, “ধরলা তীরের পতিত জমি কাজে লাগিয়ে আমরা মিষ্টি কুমড়ার চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।”

পটভূমিতে একসময় অনাবাদি পড়ে থাকা এই জমিগুলো আজ স্থানীয় কৃষকের জীবনে এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার আলো। মিষ্টি কুমড়ার সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বদলে দিচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষিচিত্র।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

ধরলা তীরের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলল, সোনার ফসলে কৃষকের হাসি

আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

 

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর তীরবর্তী পতিত জমিগুলো যেন এখন স্বর্ণক্ষেত্র। আগে যেখানে কোনো ফসল হতো না, এখন সেখানে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। আর সেই কুমড়াই বদলে দিচ্ছে কৃষকদের ভাগ্য। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বিনা মূল্যের বীজে এবার আশাতীত ফলনে খুশি স্থানীয় চাষিরা।

পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ। নদীর পলিমাটিতে চাষ হওয়া গাছে ধরেছে গড়ে পাঁচ থেকে দশটি কুমড়া। প্রতিটি কুমড়ার ওজন প্রায় পাঁচ থেকে সাত কেজি। বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো লাভ করছেন চাষিরা।

চাষি সাফিউল ইসলাম বলেন, “ধরলা নদীর পাড়ের কাদা মাটিতে বীজ রোপণ করেই এমন ফলন পেয়েছি। এক-দুই মাসের মধ্যেই কুমড়া তুলবো। বর্ষাকালে বাজারে তুললে আরও ভালো দাম পাব।”

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি রবি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে কুমড়া চাষ হয়েছে প্রায় ৩০০ হেক্টরে। এতে বোঝা যাচ্ছে কৃষকদের আগ্রহ কতটা বেড়েছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও তারা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি উপসহকারী শাহিনুর রহমান বলেন, “আমরা চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ দিয়েছি, পরামর্শ দিয়েছি। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫-১০টি কুমড়া ধরেছে। এটা তাদের জীবিকায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, “ধরলা তীরের পতিত জমি কাজে লাগিয়ে আমরা মিষ্টি কুমড়ার চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।”

পটভূমিতে একসময় অনাবাদি পড়ে থাকা এই জমিগুলো আজ স্থানীয় কৃষকের জীবনে এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার আলো। মিষ্টি কুমড়ার সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বদলে দিচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষিচিত্র।