০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে
অর্থনীতি

সুতা আমদানিতে রেকর্ড মাইলফলক, সাত বছরের শীর্ষ রেকর্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 84

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন করে না, ফলে পণ্যটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তুলা আমদানি করে সুতা তৈরি করা হয়, যা মূলত পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলা আমদানিও বাড়ে। তবে বর্তমানে দেশে সুতা আমদানির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সুতার বড় অংশই আসছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

বিজ্ঞাপন

স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করছে। অথচ দুই বছর আগে গ্যাসের দাম ১৫০-১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এতে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতা ব্যবহার করলে যে নগদ সহায়তা পেত, তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় সুতা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ। এই মিলগুলো নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

তবে গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তুলা ও সুতার আমদানি বাড়ে। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। একই বছর ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় স্পিনিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি নগদ সহায়তা পুনর্বহাল ও উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিলে দেশীয় শিল্প ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি

সুতা আমদানিতে রেকর্ড মাইলফলক, সাত বছরের শীর্ষ রেকর্ড

আপডেট সময় ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন করে না, ফলে পণ্যটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তুলা আমদানি করে সুতা তৈরি করা হয়, যা মূলত পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলা আমদানিও বাড়ে। তবে বর্তমানে দেশে সুতা আমদানির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সুতার বড় অংশই আসছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

বিজ্ঞাপন

স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করছে। অথচ দুই বছর আগে গ্যাসের দাম ১৫০-১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এতে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতা ব্যবহার করলে যে নগদ সহায়তা পেত, তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় সুতা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ। এই মিলগুলো নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

তবে গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তুলা ও সুতার আমদানি বাড়ে। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। একই বছর ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় স্পিনিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি নগদ সহায়তা পুনর্বহাল ও উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিলে দেশীয় শিল্প ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা ।