ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জানুয়ারির প্রথম ২৫ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার  বাংলাদেশ ও জার্মানির বাণিজ্যিক যোগাযোগে নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত, বাংলাদেশেও ইউএসএইডের কার্যক্রম বন্ধ ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ হবে আগামী মার্চে লীক ভেজিটেবল (গ্যাস্ট্রিকের মহাঔষধ)-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা  তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম কাবুল সফর তালেবানের হাতে আমেরিকান বন্দি: মুক্তির দাবিতে কঠোর পদক্ষেপের হুমকি ট্রাম্পের ভাবনায় আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন তামিমের ফিফটি ও ফাহিমের বিধ্বংসী বোলিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফে ফরচুন বরিশাল টঙ্গী-জয়দেবপুর রুটে রেললাইন বেঁকে গেল, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১২০০ যাত্রী
সদ্য সংবাদ:
শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ, আহত অন্তত ৬ পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ♦ জামালপুরে একটি বাড়ি থেকে টিসিবির ৮০ বস্তা চাল-ডাল জব্দ, আটক ৩ ♦ পল্লবীতে 'ব্লেড বাবু' হত্যাকাণ্ডে ‘কুত্তা রাব্বি’ গ্রেফতার  ♦ সুদানে হাসপাতালে ভয়াবহ ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭  ♦  মেস থেকে যাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  ♦  মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ আর নেই  ♦ ঢাকায় সাড়ে ১৩ হাজার ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার ♦  কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিরক্ষীদের সংঘর্ষে নিহত ১৩  ♦  যুক্তরাজ্যে এমপি পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগের দাবি

অর্থনীতি

সুতা আমদানিতে রেকর্ড মাইলফলক, সাত বছরের শীর্ষ রেকর্ড

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন করে না, ফলে পণ্যটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তুলা আমদানি করে সুতা তৈরি করা হয়, যা মূলত পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলা আমদানিও বাড়ে। তবে বর্তমানে দেশে সুতা আমদানির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সুতার বড় অংশই আসছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করছে। অথচ দুই বছর আগে গ্যাসের দাম ১৫০-১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এতে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতা ব্যবহার করলে যে নগদ সহায়তা পেত, তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় সুতা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ। এই মিলগুলো নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

তবে গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তুলা ও সুতার আমদানি বাড়ে। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। একই বছর ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় স্পিনিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি নগদ সহায়তা পুনর্বহাল ও উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিলে দেশীয় শিল্প ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনীতি

সুতা আমদানিতে রেকর্ড মাইলফলক, সাত বছরের শীর্ষ রেকর্ড

আপডেট সময় ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন করে না, ফলে পণ্যটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তুলা আমদানি করে সুতা তৈরি করা হয়, যা মূলত পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলা আমদানিও বাড়ে। তবে বর্তমানে দেশে সুতা আমদানির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সুতার বড় অংশই আসছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করছে। অথচ দুই বছর আগে গ্যাসের দাম ১৫০-১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এতে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতা ব্যবহার করলে যে নগদ সহায়তা পেত, তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় সুতা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ। এই মিলগুলো নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

তবে গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তুলা ও সুতার আমদানি বাড়ে। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। একই বছর ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় স্পিনিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি নগদ সহায়তা পুনর্বহাল ও উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিলে দেশীয় শিল্প ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা ।