০২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

নানা সংকটের মধ্যেও তৈরি পোশাক রফতানিতে রেকর্ড, আয় ছাড়াল ৩৯ বিলিয়ন ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 162

ছবি সংগৃহীত

 

নানা চ্যালেঞ্জের মাঝেও তৈরি পোশাক রফতানিতে রেকর্ড আয় করেছে বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানিতে এসেছে ৩৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি। এই প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশেরও বেশি।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে এবারের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অথচ বছরের বড় একটি সময়জুড়ে ঢাকাসহ সাভার ও গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ এবং নানা জটিলতা চলমান ছিল।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে অনেক অর্ডার চীন থেকে সরে এসেছে, যার একটি বড় অংশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ দ্বন্দ্বের সুযোগে কিছু মার্কিন ক্রেতা বাংলাদেশে অর্ডার দিয়েছেন। পাশাপাশি ইউরোপীয় বাজার থেকেও অর্ডার বেড়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, “বিশ্বের যেকোনো চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের। এ কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে দেশটি।”

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতির পরিবর্তন কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজিএমইএর আশা, এই ট্যারিফ জটিলতা কেটে গেলে চলতি অর্থবছরে রফতানি আয় আরও বাড়বে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্যে এসেছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। অপরদিকে ওভেন পণ্যে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।

বিজিএমইএর পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমরা সম্ভাবনাময় অবস্থানে আছি। ট্যারিফ জটিলতা ও সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন হলে রফতানির পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব।”

বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমেরিকায় রফতানি হয়। তাই এই বাজার ধরে রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। বিজিএমইএর পরিচালক সাইফুল্লাহ মনসুর মনে করেন, “যদি ট্যারিফ যুক্তিসঙ্গত হয়, তবে এ খাতের রফতানি আরও বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।”

সব মিলিয়ে বলা যায়, বৈশ্বিক সংকট ও অভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্যেও শ্রমিকদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় এবং বৈচিত্র্যময় ডিজাইনে রফতানিতে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নানা সংকটের মধ্যেও তৈরি পোশাক রফতানিতে রেকর্ড, আয় ছাড়াল ৩৯ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ১২:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

নানা চ্যালেঞ্জের মাঝেও তৈরি পোশাক রফতানিতে রেকর্ড আয় করেছে বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানিতে এসেছে ৩৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি। এই প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশেরও বেশি।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে এবারের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অথচ বছরের বড় একটি সময়জুড়ে ঢাকাসহ সাভার ও গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ এবং নানা জটিলতা চলমান ছিল।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে অনেক অর্ডার চীন থেকে সরে এসেছে, যার একটি বড় অংশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ দ্বন্দ্বের সুযোগে কিছু মার্কিন ক্রেতা বাংলাদেশে অর্ডার দিয়েছেন। পাশাপাশি ইউরোপীয় বাজার থেকেও অর্ডার বেড়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, “বিশ্বের যেকোনো চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের। এ কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে দেশটি।”

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতির পরিবর্তন কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজিএমইএর আশা, এই ট্যারিফ জটিলতা কেটে গেলে চলতি অর্থবছরে রফতানি আয় আরও বাড়বে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্যে এসেছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। অপরদিকে ওভেন পণ্যে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।

বিজিএমইএর পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমরা সম্ভাবনাময় অবস্থানে আছি। ট্যারিফ জটিলতা ও সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন হলে রফতানির পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব।”

বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমেরিকায় রফতানি হয়। তাই এই বাজার ধরে রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। বিজিএমইএর পরিচালক সাইফুল্লাহ মনসুর মনে করেন, “যদি ট্যারিফ যুক্তিসঙ্গত হয়, তবে এ খাতের রফতানি আরও বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।”

সব মিলিয়ে বলা যায়, বৈশ্বিক সংকট ও অভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্যেও শ্রমিকদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় এবং বৈচিত্র্যময় ডিজাইনে রফতানিতে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।