রাজনৈতিক কোরবানি হয়নি, তাই এবার বড় গরুর বিক্রি কম: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৩:১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / 4
এ বছর দেশে বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, কারণ রাজনৈতিক কোরবানি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রোববার (১৫ জুন) ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রথম কার্যদিবসে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “এবার কোরবানির জন্য দেশীয় গরু পর্যাপ্ত ছিল। আমরা বাইরের কোনো গরুর ওপর নির্ভর করিনি। বাজারে যে সংখ্যক পশু প্রস্তুত ছিল, তার চেয়েও কমসংখ্যক পশু কোরবানি হয়েছে। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো এবার বড় গরু কম কেটেছে। যার মানে দাঁড়ায়, রাজনৈতিক কোরবানি কম হয়েছে।”
উপদেষ্টা জানান, এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৯৭ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে সারাদেশে।
তার মতে, “যতটা পশু প্রস্তুত ছিল, তার তুলনায় কোরবানির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশীয় উৎপাদন দিয়ে চাহিদা পূরণ করা, সেটা সফলভাবে করা গেছে।”
তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদের সময় কোনো ধরনের বড় ধরনের পশু সংকট, রোগ বা ট্রান্সপোর্ট সমস্যার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। খামারি, কৃষক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করায় ঈদের পশুর বাজার ছিল স্থিতিশীল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবেচনায় অনেক ক্ষেত্রে বড় গরু কোরবানি করা হয়। তবে এ বছর রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত। ফলে তথাকথিত ‘প্রভাব দেখানোর’ কোরবানি কম হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বড় আকারের গরুর বিক্রিতে।
এদিকে খামারিরা কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেও সরকার বলছে, তারা ঘরোয়া উৎপাদনকে উৎসাহিত করেই সামনে আরও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দিকে এগোতে চায়।
সার্বিকভাবে, এই কোরবানির মৌসুমে দেশীয় গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ হয়েছে যা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।