০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি খাতে জোর, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ১,৩৬১ কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুদামের ধারণক্ষমতা ৩৭ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এবারের বাজেট প্রণয়নে মূল নীতিই হচ্ছে বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই তিন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ১ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার একটি আলাদা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। একই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

এছাড়া দেশীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র উৎপাদনে উৎসাহ দিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “কৃষি ও খাদ্য খাতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা মানুষের পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোতে চাই।”

এই প্রস্তাবিত বাজেট দেশের কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য মজুত ব্যবস্থা এবং পরিবেশ-সংবেদনশীল উদ্যোগগুলোর ওপর জোর দেওয়ায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি খাতে জোর, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ১,৩৬১ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৪:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুদামের ধারণক্ষমতা ৩৭ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এবারের বাজেট প্রণয়নে মূল নীতিই হচ্ছে বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই তিন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ১ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার একটি আলাদা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। একই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

এছাড়া দেশীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র উৎপাদনে উৎসাহ দিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “কৃষি ও খাদ্য খাতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা মানুষের পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোতে চাই।”

এই প্রস্তাবিত বাজেট দেশের কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য মজুত ব্যবস্থা এবং পরিবেশ-সংবেদনশীল উদ্যোগগুলোর ওপর জোর দেওয়ায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।