ঈদুল আজহার দীর্ঘ সরকারি ছুটিকে সামনে রেখে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, করদাতারা এখন ১৯ জুন ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

এনবিআরের এই সিদ্ধান্তে দেশের করদাতাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যারা ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের বাইরে রয়েছেন বা ব্যস্ততার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে পারছিলেন না।

অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে করদাতাকে অবশ্যই প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত একটি মোবাইল নম্বর। এই দুটি তথ্য দিয়ে সহজেই অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, অনলাইন রিটার্ন বা ই-রিটার্ন দাখিলে কোনো ধরনের কাগজপত্র আপলোড করার প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট দলিলের তথ্য প্রদান করলেই যথেষ্ট। উদাহরণস্বরূপ, চাকরিজীবীদের আয়ের উৎস বা বেতন-ভাতার প্রমাণ হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) যথেষ্ট প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

করদাতাকে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের (যা আগের বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত) ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের পরিমাণ এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে দিতে হবে।

এনবিআর-এর এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও করদাতাবান্ধব করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সময়মতো রিটার্ন দাখিল করে করদাতারা যেমন জরিমানা থেকে রক্ষা পাবেন, তেমনি আয়কর দাখিলের আইনগত বাধ্যবাধকতাও পূরণ হবে।

এনবিআর জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে অর্থদণ্ড বা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিটার্ন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সকল করদাতাকে।