ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

২০২৫ সালে শিল্পের সঙ্গে শিল্পোউদ্যোক্তাদেরও মেরে ফেলা হচ্ছে: বিটিএমএ সভাপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

১৯৭১ সালে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।

রবিবার গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্প সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, “শিল্পে এখন গ্যাস নেই। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ উপদেষ্টারা মনে হচ্ছে উটপাখির মতো বালুর মধ্যে মাথা গুঁজে আছেন। দেশের পরিস্থিতি তারা বুঝতেই পারছেন না।”

তিনি আরও বলেন, “গ্যাস সংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়ে গেছে। সামনে ঈদে অনেক কারখানা বেতন–ভাতা দিতে পারবে কি না, সে সংশয় তৈরি হয়েছে।”

শওকত আজিজ রাসেল সতর্ক করে বলেন, “শিল্প যদি বাঁচে না, তাহলে দেশেও দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে। মানুষ তখন রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।”

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ। তিনি জানান, “গ্যাস সংকটে অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন ৬০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়েছে। তিন মাস সুদ দিতে না পারলেই ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করছে ব্যাংক। অথচ সরকার নির্ধারিত সময়েই বেতন পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)-এর নেতারা।

শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস সংকট এবং উচ্চ সুদের চাপে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পখাত মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সঙ্কট জাতীয় অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৫ সালে শিল্পের সঙ্গে শিল্পোউদ্যোক্তাদেরও মেরে ফেলা হচ্ছে: বিটিএমএ সভাপতি

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

১৯৭১ সালে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।

রবিবার গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্প সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, “শিল্পে এখন গ্যাস নেই। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ উপদেষ্টারা মনে হচ্ছে উটপাখির মতো বালুর মধ্যে মাথা গুঁজে আছেন। দেশের পরিস্থিতি তারা বুঝতেই পারছেন না।”

তিনি আরও বলেন, “গ্যাস সংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়ে গেছে। সামনে ঈদে অনেক কারখানা বেতন–ভাতা দিতে পারবে কি না, সে সংশয় তৈরি হয়েছে।”

শওকত আজিজ রাসেল সতর্ক করে বলেন, “শিল্প যদি বাঁচে না, তাহলে দেশেও দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে। মানুষ তখন রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।”

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ। তিনি জানান, “গ্যাস সংকটে অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন ৬০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়েছে। তিন মাস সুদ দিতে না পারলেই ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করছে ব্যাংক। অথচ সরকার নির্ধারিত সময়েই বেতন পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)-এর নেতারা।

শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস সংকট এবং উচ্চ সুদের চাপে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পখাত মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সঙ্কট জাতীয় অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।