ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

বাংলাদেশে কাতারি বিনিয়োগ বাড়াতে কাতারের ব্যবসায়ীদের প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 44

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে কাতারের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় অনুষ্ঠিত ‘কাতার ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক বিশেষ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন ব্যবসায়িক অগ্রযাত্রার এক নবতর পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনভিত্তিক ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। কাতারের বিনিয়োগকারীদের আমরা এই উন্নয়নের অংশীদার হতে আমন্ত্রণ জানাই।”

বক্তব্যে ড. ইউনূস বাংলাদেশের একটি সফল বিনিয়োগগাথার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “নরওয়ের টেলিনর গ্রুপ একসময় বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুযোগ দেখে এগিয়ে আসে। তখন তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত ছিল ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু আজ এটি তাদের সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। কাতারের জন্যও বাংলাদেশ হতে পারে এমনই এক লাভজনক গন্তব্য।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান দেশের আর্থিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা কমে ৬০০ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরও জানান, “কাতার এনার্জির বকেয়া ২৫৪ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যেই পরিশোধ হয়েছে।” জ্বালানি খাতে কাতারের বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নত অবকাঠামো পরিকল্পনা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা কাতারের জন্য সুদূরপ্রসারী লাভ বয়ে আনবে।”

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিশদ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন উৎপাদন, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর।”

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। রাষ্ট্রদূত তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের এই সময়ে কাতারের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার এখনই উপযুক্ত সময়।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে কাতারি বিনিয়োগ বাড়াতে কাতারের ব্যবসায়ীদের প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আপডেট সময় ১০:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে কাতারের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় অনুষ্ঠিত ‘কাতার ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক বিশেষ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন ব্যবসায়িক অগ্রযাত্রার এক নবতর পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনভিত্তিক ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। কাতারের বিনিয়োগকারীদের আমরা এই উন্নয়নের অংশীদার হতে আমন্ত্রণ জানাই।”

বক্তব্যে ড. ইউনূস বাংলাদেশের একটি সফল বিনিয়োগগাথার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “নরওয়ের টেলিনর গ্রুপ একসময় বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুযোগ দেখে এগিয়ে আসে। তখন তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত ছিল ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু আজ এটি তাদের সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। কাতারের জন্যও বাংলাদেশ হতে পারে এমনই এক লাভজনক গন্তব্য।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান দেশের আর্থিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা কমে ৬০০ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরও জানান, “কাতার এনার্জির বকেয়া ২৫৪ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যেই পরিশোধ হয়েছে।” জ্বালানি খাতে কাতারের বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নত অবকাঠামো পরিকল্পনা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা কাতারের জন্য সুদূরপ্রসারী লাভ বয়ে আনবে।”

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিশদ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন উৎপাদন, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর।”

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। রাষ্ট্রদূত তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের এই সময়ে কাতারের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার এখনই উপযুক্ত সময়।”