ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্টার্টআপদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল: আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক- জানালেন গভর্নর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

স্টার্টআপ খাতের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করেছে ৫০০ কোটি টাকার কো-ফাইন্যান্সিং ফান্ড, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। রাজধানীতে আয়োজিত ‘ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’-এর এক সেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এই সম্মেলনে গভর্নর জানান, দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের আইডিয়াগুলো যাচাই-বাছাই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি বলেন, “শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশ থেকেই স্টার্টআপরা বিনিয়োগ পাচ্ছে। হতাশ হবেন না আপনাদের কথা এখন নীতিনির্ধারকরা মন দিয়ে শুনছে।”

তিনি আরও জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে স্টার্টআপে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে বিশ্বাস করে এবং সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

ড. মনসুর স্টার্টআপদের সতর্ক করে বলেন, “৯৫ শতাংশ স্টার্টআপ টিকে থাকতে পারে না। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি। তাড়াহুড়ো করে লাভ খোঁজার কিছু নেই প্রথমে বিক্রি বাড়ান, সাফল্য সময় নিয়েই আসবে।”

সেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন শেয়ারট্রিপের সিইও সাদিয়া হক। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, আইসিটি সচিব শীষ মোহাম্মদ এবং প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক সহকারী ফাইয়্যেজ আহমেদ তৈয়্যব।

ইন্টারনেটের দাম কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফাইয়্যেজ তৈয়্যব জানান, গেটওয়ে লেভেল থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যা সবচেয়ে আগে প্রতিফলিত হচ্ছে আইসিটি খাতে।”

ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার তা করবে না, ভবিষ্যতের কোনো সরকারও পারবে না। ইন্টারনেট বন্ধের মতো কোনো নীতি এসওপি বা এনজিএসওতে রাখা হয়নি।”

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন বলেন, “বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগকারীরা নিজের চোখে প্রকৃত চিত্র দেখুন। আমরা কথা কম বলি, কাজ বেশি করি। বিনিয়োগকারীদের কথা শুনে আমরা পরিকল্পনা সাজাই।”

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্টার্টআপদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল: আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক- জানালেন গভর্নর

আপডেট সময় ০৫:১৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

স্টার্টআপ খাতের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করেছে ৫০০ কোটি টাকার কো-ফাইন্যান্সিং ফান্ড, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। রাজধানীতে আয়োজিত ‘ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’-এর এক সেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এই সম্মেলনে গভর্নর জানান, দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের আইডিয়াগুলো যাচাই-বাছাই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি বলেন, “শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশ থেকেই স্টার্টআপরা বিনিয়োগ পাচ্ছে। হতাশ হবেন না আপনাদের কথা এখন নীতিনির্ধারকরা মন দিয়ে শুনছে।”

তিনি আরও জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে স্টার্টআপে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে বিশ্বাস করে এবং সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

ড. মনসুর স্টার্টআপদের সতর্ক করে বলেন, “৯৫ শতাংশ স্টার্টআপ টিকে থাকতে পারে না। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি। তাড়াহুড়ো করে লাভ খোঁজার কিছু নেই প্রথমে বিক্রি বাড়ান, সাফল্য সময় নিয়েই আসবে।”

সেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন শেয়ারট্রিপের সিইও সাদিয়া হক। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, আইসিটি সচিব শীষ মোহাম্মদ এবং প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক সহকারী ফাইয়্যেজ আহমেদ তৈয়্যব।

ইন্টারনেটের দাম কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফাইয়্যেজ তৈয়্যব জানান, গেটওয়ে লেভেল থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যা সবচেয়ে আগে প্রতিফলিত হচ্ছে আইসিটি খাতে।”

ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার তা করবে না, ভবিষ্যতের কোনো সরকারও পারবে না। ইন্টারনেট বন্ধের মতো কোনো নীতি এসওপি বা এনজিএসওতে রাখা হয়নি।”

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন বলেন, “বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগকারীরা নিজের চোখে প্রকৃত চিত্র দেখুন। আমরা কথা কম বলি, কাজ বেশি করি। বিনিয়োগকারীদের কথা শুনে আমরা পরিকল্পনা সাজাই।”

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।