ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাত দিনের মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের বিচার কাজ শুরু: আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সূচনা বলিভিয়ার পোটোসি অঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, আহত ২০ জন নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যু, বিচার দাবি জামায়াত আমিরের আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক: হাসনাত-সারজিস মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব দায় নিলেন দুতার্তে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল শনি গ্রহের চারপাশে নতুন ১২৮টি চাঁদের সন্ধান, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান আইজিপির আহ্বান: পুলিশের ওপর আক্রমণ না করে সহযোগিতা করুন

মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

মাগুরার আট বছরের সেই শিশুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি এই নির্মম ঘটনার আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন, যার ভিত্তিতে ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

কর্নেল নাজমুল হামিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটি দুই দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়। প্রথম দুইবার সিপিআর দেওয়ার পর হৃৎস্পন্দন ফিরে এলেও দুপুর ১২টায় আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তৃতীয়বার চেষ্টার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফেরানো সম্ভব হয়নি এবং বেলা ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিশুটিকে বাঁচাতে সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসা সত্ত্বেও তাকে রক্ষা করা যায়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

শিশুটির অসুস্থতার শুরু গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে, যখন তার বোনের শাশুড়ি অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার মা হাসপাতালে গিয়ে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন। সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর সংকটাপন্ন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে পিআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে নানা মহল থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি

আপডেট সময় ০৮:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

মাগুরার আট বছরের সেই শিশুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি এই নির্মম ঘটনার আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন, যার ভিত্তিতে ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

কর্নেল নাজমুল হামিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটি দুই দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়। প্রথম দুইবার সিপিআর দেওয়ার পর হৃৎস্পন্দন ফিরে এলেও দুপুর ১২টায় আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তৃতীয়বার চেষ্টার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফেরানো সম্ভব হয়নি এবং বেলা ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিশুটিকে বাঁচাতে সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসা সত্ত্বেও তাকে রক্ষা করা যায়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

শিশুটির অসুস্থতার শুরু গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে, যখন তার বোনের শাশুড়ি অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার মা হাসপাতালে গিয়ে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন। সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর সংকটাপন্ন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে পিআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে নানা মহল থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।