ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ মহাকাশে চীনের এআই কম্পিউটার: ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মোট পাঠানো হবে এরকম ২৮০০ টি স্যাটেলাইট সারা দেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬০৫ আসামি এবার চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্য ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা ইশরাক ইস্যু বিচারাধীন, এই বিষয় নিয়ে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়: সজীব ভূইয়া

সবজি ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে ৬ আসামির ফাঁসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

সিরাজগঞ্জের সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলামকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আাদলত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ছয় আসামিই পলাতক ছিলেন।

আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার পারধুন্দিয়া গ্রামের মো. খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মো. মোজাহিদ, পারধুন্দিয়ার মো. বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মো. সাইদুল ইসলাম এবং রামনগর (হাটবাড়ি) গ্রামের মো. মিলন সরকার।

মোট সাতজনকে বিচার চলাকালে আসামি মো. সাইফুল ইসলাম হাজী ছয়ফুল মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার (রফিক সরকার)। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম আজাদ এবং স্টেট ডিফেন্স পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক আতা। রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত মনে করে রায় ঘোষণা করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার বলেন, চাঞ্চল্যকর সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যা মামলার রায়ে আজ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

নওগাঁর চকগৌরী বাজার থেকে সবজি কিনে ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম। তিনি বাইপাইলের একটি কাঁচাবাজারে সবজি পৌঁছানোর বিষয়টি স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে ফোনে নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট থেকে নাজমুলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সেদিন রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, নাজমুলকে গাজীপুরের চান্দুরা এলাকা থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একই রাতে আরও একবার ফোন করে জানায়, নাজমুলকে মারধর করা হয়েছে, সে কথা বলতে পারবে না। পরদিন সকালে একটি বিকাশ নম্বর থেকে টাকা পাঠাতে বলে।

১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় একটি এনজিও কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস ফোনে বলেন, নাজমুলের মরদেহ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকার রূপসী বাংলা হোটেলের পাশে পাওয়া গেছে। মরদেহের মাথায় ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন। সলঙ্গা থানা পুলিশ মরদেহের শরীর থেকে পাওয়া একটি এনজিও কাগজের সূত্র ধরে আত্মীয়দের খবর দেয়। পরে পরিবার গিয়ে মরদেহ নিয়ে আসেন।

মামলার চার্জশিট অনুযায়ী, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় না হওয়ায় নাজমুলকে হত্যা করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সবজি ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে ৬ আসামির ফাঁসি

আপডেট সময় ০৩:০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

সিরাজগঞ্জের সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলামকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আাদলত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ছয় আসামিই পলাতক ছিলেন।

আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার পারধুন্দিয়া গ্রামের মো. খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মো. মোজাহিদ, পারধুন্দিয়ার মো. বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মো. সাইদুল ইসলাম এবং রামনগর (হাটবাড়ি) গ্রামের মো. মিলন সরকার।

মোট সাতজনকে বিচার চলাকালে আসামি মো. সাইফুল ইসলাম হাজী ছয়ফুল মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার (রফিক সরকার)। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম আজাদ এবং স্টেট ডিফেন্স পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক আতা। রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত মনে করে রায় ঘোষণা করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার বলেন, চাঞ্চল্যকর সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যা মামলার রায়ে আজ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

নওগাঁর চকগৌরী বাজার থেকে সবজি কিনে ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম। তিনি বাইপাইলের একটি কাঁচাবাজারে সবজি পৌঁছানোর বিষয়টি স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে ফোনে নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট থেকে নাজমুলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সেদিন রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, নাজমুলকে গাজীপুরের চান্দুরা এলাকা থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একই রাতে আরও একবার ফোন করে জানায়, নাজমুলকে মারধর করা হয়েছে, সে কথা বলতে পারবে না। পরদিন সকালে একটি বিকাশ নম্বর থেকে টাকা পাঠাতে বলে।

১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় একটি এনজিও কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস ফোনে বলেন, নাজমুলের মরদেহ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকার রূপসী বাংলা হোটেলের পাশে পাওয়া গেছে। মরদেহের মাথায় ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন। সলঙ্গা থানা পুলিশ মরদেহের শরীর থেকে পাওয়া একটি এনজিও কাগজের সূত্র ধরে আত্মীয়দের খবর দেয়। পরে পরিবার গিয়ে মরদেহ নিয়ে আসেন।

মামলার চার্জশিট অনুযায়ী, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় না হওয়ায় নাজমুলকে হত্যা করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।