০৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প

দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 89

ছবি: সংগৃহীত

 

অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

রায়ে আদালত জি কে শামীমের জব্দ করা ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তার মা আয়েশা আক্তারকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই সময় জি কে শামীমের মা পলাতক থাকায় রায় পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এ সময় আসামিপক্ষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে।

আদালতে নতুন করে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০ মার্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এক সময় রাজউকের প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জি কে শামীম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। এবার আইনের মুখোমুখি হয়ে অবশেষে সাজা পেলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

রায়ে আদালত জি কে শামীমের জব্দ করা ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তার মা আয়েশা আক্তারকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই সময় জি কে শামীমের মা পলাতক থাকায় রায় পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এ সময় আসামিপক্ষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে।

আদালতে নতুন করে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০ মার্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এক সময় রাজউকের প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জি কে শামীম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। এবার আইনের মুখোমুখি হয়ে অবশেষে সাজা পেলেন তিনি।