০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করল নাসার নীরব সুপারসনিক জেট X-59

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ ও মন্ত্রী ইমরানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:১৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম পৃথকভাবে আদালতে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে উভয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন, যাতে করে তারা দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, ইমরান আহমেদ নবম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য এবং পরবর্তীতে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের নামে ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন সম্পদ অর্জন করেন। তার নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ৬ কোটি টাকার অধিক সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং ৫টি কার্ড ব্যবহার করে প্রায় ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন করেছেন, যা সন্দেহজনক বলে মনে করছে দুদক।

দুদক আরও জানায়, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অবৈধ অর্থ বা সম্পদ তারা বিভিন্নভাবে রূপান্তর, স্থানান্তর এবং হস্তান্তর করেছেন। এসব লেনদেনের মাধ্যমে তারা অর্থের উৎস গোপন করার চেষ্টা করেছেন।

তদন্ত চলাকালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার স্বার্থে আদালতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।

আদালত সব তথ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমানে দু’টি মামলাই তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ ও মন্ত্রী ইমরানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:১৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম পৃথকভাবে আদালতে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে উভয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন, যাতে করে তারা দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, ইমরান আহমেদ নবম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য এবং পরবর্তীতে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের নামে ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন সম্পদ অর্জন করেন। তার নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ৬ কোটি টাকার অধিক সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং ৫টি কার্ড ব্যবহার করে প্রায় ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন করেছেন, যা সন্দেহজনক বলে মনে করছে দুদক।

দুদক আরও জানায়, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অবৈধ অর্থ বা সম্পদ তারা বিভিন্নভাবে রূপান্তর, স্থানান্তর এবং হস্তান্তর করেছেন। এসব লেনদেনের মাধ্যমে তারা অর্থের উৎস গোপন করার চেষ্টা করেছেন।

তদন্ত চলাকালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার স্বার্থে আদালতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।

আদালত সব তথ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমানে দু’টি মামলাই তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।