ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ভারতের বিধিনিষেধে আমাদের আত্মনির্ভরতার নতুন দুয়ার খুলছে: আসিফ মাহমুদ অপসারণ নয়, নিজ ইচ্ছাতেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব: জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৩৩ জন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা :মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটুর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে প্রেরণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২১ মে) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আদালত সূত্র।

এর আগে গত ১৭ মে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। একই মামলায় তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এই মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট ও ২৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার তদন্তে জানা যায়, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে আট বছরের শিশু আছিয়া হিটু শেখের লালসার শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে, পরে ফরিদপুর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঘটনার পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র ক্ষোভ আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

তদন্ত শেষে পুলিশ গত ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন এবং ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানির মাধ্যমে মাত্র ১৪ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার কাজ।

এই দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক রায়কে সাধারণ মানুষ ও শিশু অধিকারকর্মীরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করেন, এমন দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দমনে সহায়ক হবে।

হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। আইন অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের রায় কার্যকর হয় না।

আসামির পক্ষে এখনো আপিলের সুযোগ থাকলেও, রাষ্ট্রপক্ষ আশাবাদী উচ্চ আদালতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা :মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটুর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে প্রেরণ

আপডেট সময় ০৪:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২১ মে) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আদালত সূত্র।

এর আগে গত ১৭ মে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। একই মামলায় তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এই মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট ও ২৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার তদন্তে জানা যায়, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে আট বছরের শিশু আছিয়া হিটু শেখের লালসার শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে, পরে ফরিদপুর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঘটনার পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র ক্ষোভ আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

তদন্ত শেষে পুলিশ গত ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন এবং ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানির মাধ্যমে মাত্র ১৪ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার কাজ।

এই দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক রায়কে সাধারণ মানুষ ও শিশু অধিকারকর্মীরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করেন, এমন দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দমনে সহায়ক হবে।

হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। আইন অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের রায় কার্যকর হয় না।

আসামির পক্ষে এখনো আপিলের সুযোগ থাকলেও, রাষ্ট্রপক্ষ আশাবাদী উচ্চ আদালতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।