ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা :মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটুর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে প্রেরণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 70

ছবি সংগৃহীত

 

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২১ মে) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আদালত সূত্র।

এর আগে গত ১৭ মে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। একই মামলায় তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এই মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট ও ২৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার তদন্তে জানা যায়, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে আট বছরের শিশু আছিয়া হিটু শেখের লালসার শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে, পরে ফরিদপুর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঘটনার পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র ক্ষোভ আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

তদন্ত শেষে পুলিশ গত ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন এবং ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানির মাধ্যমে মাত্র ১৪ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার কাজ।

এই দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক রায়কে সাধারণ মানুষ ও শিশু অধিকারকর্মীরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করেন, এমন দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দমনে সহায়ক হবে।

হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। আইন অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের রায় কার্যকর হয় না।

আসামির পক্ষে এখনো আপিলের সুযোগ থাকলেও, রাষ্ট্রপক্ষ আশাবাদী উচ্চ আদালতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা :মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটুর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে প্রেরণ

আপডেট সময় ০৪:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২১ মে) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আদালত সূত্র।

এর আগে গত ১৭ মে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। একই মামলায় তার স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এই মামলায় আসামির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট ও ২৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার তদন্তে জানা যায়, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে আট বছরের শিশু আছিয়া হিটু শেখের লালসার শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে, পরে ফরিদপুর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঘটনার পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র ক্ষোভ আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

তদন্ত শেষে পুলিশ গত ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন এবং ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানির মাধ্যমে মাত্র ১৪ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার কাজ।

এই দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক রায়কে সাধারণ মানুষ ও শিশু অধিকারকর্মীরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করেন, এমন দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দমনে সহায়ক হবে।

হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। আইন অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের রায় কার্যকর হয় না।

আসামির পক্ষে এখনো আপিলের সুযোগ থাকলেও, রাষ্ট্রপক্ষ আশাবাদী উচ্চ আদালতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।