ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

সুন্দরবনে দুই বনদস্যু বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় সংঘর্ষ, জেলেদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের নলিয়ান রেঞ্জের চালোবাকির ঘোলের খালে দুই বনদস্যু বাহিনীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। বন থেকে ফিরে আসা আতঙ্কগ্রস্ত জেলেদের বর্ণনায় উঠে এসেছে ভয়াবহ এক রাতের চিত্র। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ফেরত আসা দাকোপের সুতারখালী গ্রামের জেলে হাসান গাজী, আব্দুল গাজী ও সাইফুল গাজী জানান, তাঁরা কালাবগী স্টেশন থেকে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের ঝনঝনিয়া এলাকায় মাছ ধরতে যান। সেখানেই জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জিম্মি হন। পরে তাঁদেরকে চালোবাকির ঘোলের খালে নিয়ে গেলে রাত প্রায় ১০টার দিকে প্রতিপক্ষ শরিফ বাহিনীর সঙ্গে জাহাঙ্গীর বাহিনীর গুলিবিনিময় শুরু হয়।

জেলে-বাওয়ালীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গুলি বিনিময়ের সময় চারদিক কেঁপে উঠেছিল। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সুযোগ বুঝে জেলেরা নৌকা ফেলে জঙ্গলে পালিয়ে যান। পরে অন্য একটি নৌকার মাধ্যমে চারদিন পর তাঁরা পরিবারের কাছে ফিরতে সক্ষম হন।

জিম্মি দশা থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান, বনদস্যুদের হাতে বন্দি অবস্থায় তাঁরা চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। ফিরে এলেও তাঁদের চোখেমুখে এখনো স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না, তা তাঁদের জানা নেই।

অন্যদিকে, সুন্দরবনে আবারো বনদস্যুদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনায় আগেভাগেই বন থেকে ফিরে আসছেন। ফলে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আবারো ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাসুদ হাসান জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দিলেও এখনো সেখানে থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুন্দরবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বনজীবীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুন্দরবনে দুই বনদস্যু বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় সংঘর্ষ, জেলেদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে

আপডেট সময় ১০:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের নলিয়ান রেঞ্জের চালোবাকির ঘোলের খালে দুই বনদস্যু বাহিনীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। বন থেকে ফিরে আসা আতঙ্কগ্রস্ত জেলেদের বর্ণনায় উঠে এসেছে ভয়াবহ এক রাতের চিত্র। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ফেরত আসা দাকোপের সুতারখালী গ্রামের জেলে হাসান গাজী, আব্দুল গাজী ও সাইফুল গাজী জানান, তাঁরা কালাবগী স্টেশন থেকে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের ঝনঝনিয়া এলাকায় মাছ ধরতে যান। সেখানেই জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জিম্মি হন। পরে তাঁদেরকে চালোবাকির ঘোলের খালে নিয়ে গেলে রাত প্রায় ১০টার দিকে প্রতিপক্ষ শরিফ বাহিনীর সঙ্গে জাহাঙ্গীর বাহিনীর গুলিবিনিময় শুরু হয়।

জেলে-বাওয়ালীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গুলি বিনিময়ের সময় চারদিক কেঁপে উঠেছিল। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সুযোগ বুঝে জেলেরা নৌকা ফেলে জঙ্গলে পালিয়ে যান। পরে অন্য একটি নৌকার মাধ্যমে চারদিন পর তাঁরা পরিবারের কাছে ফিরতে সক্ষম হন।

জিম্মি দশা থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান, বনদস্যুদের হাতে বন্দি অবস্থায় তাঁরা চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। ফিরে এলেও তাঁদের চোখেমুখে এখনো স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না, তা তাঁদের জানা নেই।

অন্যদিকে, সুন্দরবনে আবারো বনদস্যুদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনায় আগেভাগেই বন থেকে ফিরে আসছেন। ফলে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আবারো ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাসুদ হাসান জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দিলেও এখনো সেখানে থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুন্দরবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বনজীবীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।