০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ: এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 124

 

আখেরি মোনাজাত মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যেখানে লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। এই মহতী উপলক্ষ্যে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সক্রিয় উপস্থিতিও দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তাদের অংশগ্রহণ শুধু ধর্মীয় দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং সমাজে তাদের অবস্থানকে নতুনভাবে প্রতিফলিত করে।

নারীরা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মোনাজাতে যোগ দেন। পর্দার বিধান মেনে, তারা সাজসজ্জায়ও বিশেষ মনোযোগ দেন, যা অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও সুশোভিত করে। রঙিন শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ ও হিজাবে সজ্জিত নারীদের একসঙ্গে বসে দোয়া করা এক অনন্য দৃশ্য তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

তবে, আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণের সামাজিক দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। তারা এখানে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং আত্মিক শান্তি খুঁজে পান। এই মিলনমেলা তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।

আখেরি মোনাজাতে নারীদের উপস্থিতি একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে সক্রিয়। তাদের অংশগ্রহণ কেবল ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, বরং এটি সমাজের বৃহত্তর অঙ্গনে নারীর ভূমিকার স্বীকৃতিও বহন করে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নারীদের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

এই মহামিলনের মধ্য দিয়ে নারীরা যেমন আত্মশুদ্ধি লাভ করেন, তেমনি ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনও শক্তিশালী হয়। আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাসকেও নতুন মাত্রা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ: এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

আপডেট সময় ১২:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আখেরি মোনাজাত মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যেখানে লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। এই মহতী উপলক্ষ্যে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সক্রিয় উপস্থিতিও দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তাদের অংশগ্রহণ শুধু ধর্মীয় দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং সমাজে তাদের অবস্থানকে নতুনভাবে প্রতিফলিত করে।

নারীরা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মোনাজাতে যোগ দেন। পর্দার বিধান মেনে, তারা সাজসজ্জায়ও বিশেষ মনোযোগ দেন, যা অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও সুশোভিত করে। রঙিন শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ ও হিজাবে সজ্জিত নারীদের একসঙ্গে বসে দোয়া করা এক অনন্য দৃশ্য তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

তবে, আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণের সামাজিক দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। তারা এখানে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং আত্মিক শান্তি খুঁজে পান। এই মিলনমেলা তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।

আখেরি মোনাজাতে নারীদের উপস্থিতি একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে সক্রিয়। তাদের অংশগ্রহণ কেবল ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, বরং এটি সমাজের বৃহত্তর অঙ্গনে নারীর ভূমিকার স্বীকৃতিও বহন করে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নারীদের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

এই মহামিলনের মধ্য দিয়ে নারীরা যেমন আত্মশুদ্ধি লাভ করেন, তেমনি ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনও শক্তিশালী হয়। আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাসকেও নতুন মাত্রা দেয়।