ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ: এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

 

আখেরি মোনাজাত মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যেখানে লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। এই মহতী উপলক্ষ্যে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সক্রিয় উপস্থিতিও দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তাদের অংশগ্রহণ শুধু ধর্মীয় দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং সমাজে তাদের অবস্থানকে নতুনভাবে প্রতিফলিত করে।

নারীরা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মোনাজাতে যোগ দেন। পর্দার বিধান মেনে, তারা সাজসজ্জায়ও বিশেষ মনোযোগ দেন, যা অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও সুশোভিত করে। রঙিন শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ ও হিজাবে সজ্জিত নারীদের একসঙ্গে বসে দোয়া করা এক অনন্য দৃশ্য তৈরি করে।

তবে, আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণের সামাজিক দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। তারা এখানে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং আত্মিক শান্তি খুঁজে পান। এই মিলনমেলা তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।

আখেরি মোনাজাতে নারীদের উপস্থিতি একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে সক্রিয়। তাদের অংশগ্রহণ কেবল ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, বরং এটি সমাজের বৃহত্তর অঙ্গনে নারীর ভূমিকার স্বীকৃতিও বহন করে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নারীদের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

এই মহামিলনের মধ্য দিয়ে নারীরা যেমন আত্মশুদ্ধি লাভ করেন, তেমনি ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনও শক্তিশালী হয়। আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাসকেও নতুন মাত্রা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ: এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

আপডেট সময় ১২:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আখেরি মোনাজাত মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যেখানে লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। এই মহতী উপলক্ষ্যে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সক্রিয় উপস্থিতিও দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তাদের অংশগ্রহণ শুধু ধর্মীয় দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং সমাজে তাদের অবস্থানকে নতুনভাবে প্রতিফলিত করে।

নারীরা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মোনাজাতে যোগ দেন। পর্দার বিধান মেনে, তারা সাজসজ্জায়ও বিশেষ মনোযোগ দেন, যা অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও সুশোভিত করে। রঙিন শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ ও হিজাবে সজ্জিত নারীদের একসঙ্গে বসে দোয়া করা এক অনন্য দৃশ্য তৈরি করে।

তবে, আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণের সামাজিক দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। তারা এখানে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং আত্মিক শান্তি খুঁজে পান। এই মিলনমেলা তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।

আখেরি মোনাজাতে নারীদের উপস্থিতি একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে সক্রিয়। তাদের অংশগ্রহণ কেবল ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, বরং এটি সমাজের বৃহত্তর অঙ্গনে নারীর ভূমিকার স্বীকৃতিও বহন করে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নারীদের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

এই মহামিলনের মধ্য দিয়ে নারীরা যেমন আত্মশুদ্ধি লাভ করেন, তেমনি ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনও শক্তিশালী হয়। আখেরি মোনাজাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাসকেও নতুন মাত্রা দেয়।