ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড সাফল্য, হ্যান্ডলিংয়ে বাড়ছে অগ্রগতি পেশাদারিত্ব ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক এসএসএফ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ভারত-কানাডা সম্পর্কে বরফ গলছে, ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতা হোয়াইট হাউজে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে ফোর্ডো স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায়

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবা মো. মোতাহারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানান, অর্থদণ্ডের এই টাকা আদায়ের জন্য আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিমকে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে মোতাহারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একই ঘরে বসবাস করতো। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা না থাকায় একত্রে বসবাস করতে হতো তাদের। এই অবস্থায় মোতাহার বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিতো।

২০২১ সালের ২০ জুন রাতে মোতাহার ভিকটিমকে প্রথমবার ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও একই অপরাধ করে সে। ঘটনার পরদিন ভিকটিম তার মাকে বিষয়টি জানালে, মা ও সৎ বাবা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর সে তার নিজের বাবার কাছে চলে যায়।

ভিকটিম ২৪ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন থানার এসআই আবুল হাসান। ২০২২ সালের ২৭ মে মোতাহারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। এরপর আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে।

মামলার শুনানিতে আদালত আটজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সব দিক বিবেচনা করে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন, যা সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবা মো. মোতাহারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানান, অর্থদণ্ডের এই টাকা আদায়ের জন্য আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিমকে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে মোতাহারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একই ঘরে বসবাস করতো। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা না থাকায় একত্রে বসবাস করতে হতো তাদের। এই অবস্থায় মোতাহার বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিতো।

২০২১ সালের ২০ জুন রাতে মোতাহার ভিকটিমকে প্রথমবার ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও একই অপরাধ করে সে। ঘটনার পরদিন ভিকটিম তার মাকে বিষয়টি জানালে, মা ও সৎ বাবা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর সে তার নিজের বাবার কাছে চলে যায়।

ভিকটিম ২৪ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন থানার এসআই আবুল হাসান। ২০২২ সালের ২৭ মে মোতাহারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। এরপর আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে।

মামলার শুনানিতে আদালত আটজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সব দিক বিবেচনা করে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন, যা সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।