যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কের চাপ, বাংলাদেশ খুঁজছে রপ্তানি সংকটের সমাধান: বাণিজ্য উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০২:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
- / 34
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নতুন করে শঙ্কা ছড়িয়েছে অর্থনীতিতে। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানিয়েছেন, মার্কিন বাজারে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সম্ভাব্য পথগুলো সক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ব্লুমবার্গকে তিনি বলেন, “আমরা কেবল সমস্যার কথা বলছি না, এর টেকসই সমাধান খুঁজছি।”
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক পোশাক ক্রেতা। দেশটিতে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। অতএব, এ খাতে বড় ধরনের শুল্ক চাপ দেশের রপ্তানি আয়ে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক কাঠামো শুধু পণ্য নয়, বরং বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হওয়ায় বাংলাদেশের মতো তুলনামূলকভাবে ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য এটি একপেশে সিদ্ধান্ত।
সরকার ইতিমধ্যেই তুলাসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন জানান, “আমরা চাইলে আমেরিকান তুলা আমদানি করতে পারি, তবে সেজন্য একটি স্থিতিশীল সরবরাহ শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি রোধে তুলা আমদানি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। “যদি আমেরিকান তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক আমরা আবার তাদের কাছেই রপ্তানি করি, তাহলে তারা দ্বিধায় পড়বে নতুন শুল্ক চাপানোর আগে,” বলেন তিনি।
তবে ইতিবাচক দিকও রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক হার কম হওয়ায় কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেতে পারে দেশটি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশি সুতা আমদানি সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রপ্তানি ধরে রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা করা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের ভাষায়, “এটি শুধু দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নয় এটা এক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি।”