পাকিস্তান থেকে দ্বিতীয় চালান: চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালো ২৬ হাজার ২৫০ টন চাল

- আপডেট সময় ০৫:২৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / 35
পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চালের দ্বিতীয় চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে একটি জাহাজ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের এই আমদানির অংশ হিসেবে জাহাজটি শনিবার (১৫ মার্চ) বন্দরে পৌঁছায়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) চুক্তির আওতায় পাকিস্তান থেকে আমদানি করা চাল নিয়ে ‘এমভি মারিয়াম’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। চালের নমুনা পরীক্ষার পর খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে, চলতি মাসের ৫ তারিখে ভারত ও পাকিস্তান থেকে একযোগে ৩৭ হাজার ২৫০ টন চাল বাংলাদেশে আসে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে জাহাজ ‘এমভি সিবি’ এবং ভারত থেকে ১১ হাজার টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এইচটি ইউনিটি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে।
সরকারের এ উদ্যোগ খাদ্য মজুত শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতির ওঠানামার মধ্যে সরকার দ্রুততম সময়ে চাল সংগ্রহ করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চালের আমদানিতে গতি আনতে সরকার আরও পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মজুত ব্যবস্থাপনায় সরকার তৎপর রয়েছে। এ ধরনের চালান আগামী দিনগুলোতেও আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চালের মূল্য ধরে রাখতে আমদানি একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে।সরকারের এই উদ্যোগের ফলে চালের বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে পর্যাপ্ত মজুত থাকলে বাজারে অস্থিরতা কমে আসবে এবং নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ স্বস্তি পাবে।