ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টক-মিষ্টি তেঁতুল: পাহাড়ের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত, স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে নতুন সম্ভাবনা, কৃষকদের স্বপ্ন তেল উৎপাদন ঢাকার সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়: নাম চূড়ান্ত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোর তাণ্ডব: নিহত ৩৪, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা: ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে প্রস্তুতির নির্দেশ নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত ৩১, হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান রাশিয়ার লাকসামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই  আমাদের লক্ষ্য: সিইসি  ভয়েস অব আমেরিকার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত: ১,৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী সতর্কবার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি: শুল্কারোপের ঝুঁকি ঠেকাতে ভারতীয় পদক্ষেপ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের ঝুঁকি এড়াতে এবং দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে হাঁটছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন এ বিষয়ে আলোচনা করতে।

এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপের শিকার হতে যাচ্ছে ভারত। এই শুল্কারোপ ভারতের রফতানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ তা ব্যবসা খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে, অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে নয়াদিল্লি শীঘ্রই ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করেছে।

পীযূষ গোয়েল তার সফরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জামিয়েসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। গণমাধ্যমের ধারণা, শুল্কারোপ কমাতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা দূর করতে ভারতের এই উদ্যোগ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে। এর মাধ্যমে বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো, শুল্ক কমানো এবং উভয় দেশের সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছেন, বড় আকারের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য মোদি সরকারের উচিত মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানো এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো।

ভারত ইতোমধ্যেই বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। উচ্চমানের মোটরসাইকেল ও বোরবন হুইস্কির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি: শুল্কারোপের ঝুঁকি ঠেকাতে ভারতীয় পদক্ষেপ

আপডেট সময় ১১:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের ঝুঁকি এড়াতে এবং দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে হাঁটছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন এ বিষয়ে আলোচনা করতে।

এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপের শিকার হতে যাচ্ছে ভারত। এই শুল্কারোপ ভারতের রফতানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ তা ব্যবসা খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এর ফলে, অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে নয়াদিল্লি শীঘ্রই ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করেছে।

পীযূষ গোয়েল তার সফরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জামিয়েসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। গণমাধ্যমের ধারণা, শুল্কারোপ কমাতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা দূর করতে ভারতের এই উদ্যোগ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে। এর মাধ্যমে বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো, শুল্ক কমানো এবং উভয় দেশের সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছেন, বড় আকারের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য মোদি সরকারের উচিত মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানো এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো।

ভারত ইতোমধ্যেই বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। উচ্চমানের মোটরসাইকেল ও বোরবন হুইস্কির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে।