ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্তে সব যাত্রী নিহত বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮ শিক্ষার্থী আহত এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ভোটের দুই মাস আগে তফসিল দেওয়া হবে : সিইসি নির্বাচন ছাড়া কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করি না: মির্জা ফখরুল তুরস্কের মালিকানার প্রমাণে মুক্তি পেল ‘সি ওয়ার্ল্ড’ জাহাজ রাশিয়ার অভিযোগ: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়ছে আমেরিকার এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে স্পেন। গত পাঁচ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ১০ প্রবীণ আত্মহত্যা করেছেন গাজায় মানবিক বিপর্যয়: হামলায় ৮৩ নিহত, দুর্ভিক্ষে মৃত্যু বাড়ছে

সেন্ট মার্টিনে মাছের সংকট, পর্যটকদের চাহিদা পূরণে সংকটে জেলেরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 68

সেন্ট মার্টিনে মাছের সংকট, পর্যটকদের চাহিদা পূরণে সংকটে জেলেরা

 

সেন্ট মার্টিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল তাজা সামুদ্রিক মাছ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মাছ ভেজে পর্যটকদের পরিবেশন করা দ্বীপের বিশেষত্ব হলেও এখন সেই মাছের দেখা পাওয়া ভার। স্থানীয় জেলেরা ছোট মাছ, যেমন ‘ফ্লাইংফিশ’ ও ‘টুইট্যা’, আহরণ করে পর্যটকদের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

একসময় এই দ্বীপ ছিল মৎস্য খনি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শত মেট্রিক টন মাছ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন সাগরে মাছের সংকট প্রকট। দ্বীপের পূর্ব সৈকতে টানাজালে ধরা পড়ছে কেবল ছোট আকৃতির মাছ। অধিকাংশ ইঞ্জিন নৌকা ঘাটে নোঙর করে আছে, কারণ গভীর সাগরে মাছ আহরণের সক্ষমতা তাদের নেই।

জেলেদের মতে, গভীর বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে বড় মাছের ঝাঁক। টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে আসা বড় ট্রলারগুলো গভীর সাগরে সাত-আট দিন অবস্থান করে মাছ ধরলেও, সেন্ট মার্টিনের নৌকাগুলো রাতে মাছ ধরে সকালে ফিরে আসে।

সরকারি নির্দেশনায় প্রতিদিন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করছেন দুই হাজার পর্যটক। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ২০-৩০ মণ মাছ। কিন্তু দ্বীপে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকেরা টেকনাফ বা শাহপরীর দ্বীপ থেকে কোরাল, রূপচাঁদা, কালোচান্দা কিনে সংকট সামাল দিচ্ছেন।

মৎস্য সংকট মোকাবিলায় গভীর সাগরে মাছ ধরার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাগর সংরক্ষণে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পর্যটনের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের এই দ্বৈত চাহিদা পূরণে সমন্বিত পদক্ষেপই হতে পারে টেকসই সমাধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেন্ট মার্টিনে মাছের সংকট, পর্যটকদের চাহিদা পূরণে সংকটে জেলেরা

আপডেট সময় ১০:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

সেন্ট মার্টিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল তাজা সামুদ্রিক মাছ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মাছ ভেজে পর্যটকদের পরিবেশন করা দ্বীপের বিশেষত্ব হলেও এখন সেই মাছের দেখা পাওয়া ভার। স্থানীয় জেলেরা ছোট মাছ, যেমন ‘ফ্লাইংফিশ’ ও ‘টুইট্যা’, আহরণ করে পর্যটকদের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

একসময় এই দ্বীপ ছিল মৎস্য খনি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শত মেট্রিক টন মাছ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন সাগরে মাছের সংকট প্রকট। দ্বীপের পূর্ব সৈকতে টানাজালে ধরা পড়ছে কেবল ছোট আকৃতির মাছ। অধিকাংশ ইঞ্জিন নৌকা ঘাটে নোঙর করে আছে, কারণ গভীর সাগরে মাছ আহরণের সক্ষমতা তাদের নেই।

জেলেদের মতে, গভীর বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে বড় মাছের ঝাঁক। টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে আসা বড় ট্রলারগুলো গভীর সাগরে সাত-আট দিন অবস্থান করে মাছ ধরলেও, সেন্ট মার্টিনের নৌকাগুলো রাতে মাছ ধরে সকালে ফিরে আসে।

সরকারি নির্দেশনায় প্রতিদিন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করছেন দুই হাজার পর্যটক। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ২০-৩০ মণ মাছ। কিন্তু দ্বীপে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকেরা টেকনাফ বা শাহপরীর দ্বীপ থেকে কোরাল, রূপচাঁদা, কালোচান্দা কিনে সংকট সামাল দিচ্ছেন।

মৎস্য সংকট মোকাবিলায় গভীর সাগরে মাছ ধরার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাগর সংরক্ষণে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পর্যটনের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের এই দ্বৈত চাহিদা পূরণে সমন্বিত পদক্ষেপই হতে পারে টেকসই সমাধান।