বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগ্রহ বাড়ছে: চীনা রাষ্ট্রদূত

- আপডেট সময় ১০:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
- / 2
বাংলাদেশে বিনিয়োগে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও চীনা কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত ‘চায়না-বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারটির আয়োজন করে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশে অবকাঠামো, জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে এসব সত্ত্বেও চীনা কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী। ভবিষ্যতে তারা আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে চীনা বিনিয়োগ আরও জোরদার হবে।”
সেমিনারে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ১২টি ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার বিষয়ে সম্মতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, শিল্প, পরিবেশ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা। তিন দেশের এই সহযোগিতা পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, যা কোনো তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যেকোনো দেশ বিনিয়োগ করতে পারে এবং বিডা সেই বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে চীনে বিডার একটি অফিস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখনো ‘চায়না টাউন’ নেই। ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।”
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, সিইএবি সভাপতি হান কুন, আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাহেলা আক্তার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোকছেদ আলী এবং ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম বেপারী।