ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী জুনে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তান সফরে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে আজ মাঠে নামছে টাইগাররা ৩ মাসে নির্বাচন সম্ভব, ১০ মাসেও দেয়া হচ্ছে না নির্বাচন: তারেক রহমান দেশের আকাশে জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়: বিমানবাহিনী প্রধান স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি: নারী ও শিশুসহ নিহত ৭ ফিলিস্তিনে কলম্বিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ: মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নতুন কূটনৈতিক মাত্রা টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযান, ১২ কোটির ইয়াবা ও আইস উদ্ধার সুব্রত বাইনসহ চারজন ১৪ দিনের রিমান্ডে সরকারের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পচন ধরেছে: বিএনপির মহাসমাবেশে মির্জা আব্বাস

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট, বহির্নোঙরে ১৭ জাহাজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

কাস্টমস কর্মকর্তাদের টানা ১১ দিনের কর্মবিরতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্টি হওয়া কনটেইনার জট ও জাহাজ জটিলতা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত বন্দরের অভ্যন্তরে ৪৩,৮২৭টি টিইইউ কনটেইনার জমে আছে, যার মধ্যে ৫,৭৪৭টি খালি কনটেইনার। আর বহির্নোঙরে ১৭টি জাহাজে রয়েছে ২২,৬২৬টি টিইইউ কনটেইনার, খালাসের অপেক্ষায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে ১৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন। এতে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আমদানি পণ্যের খালাস থেমে যায় এবং বন্দরে কনটেইনারের স্তূপ তৈরি হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৭,০০০-এর বেশি বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হলেও কর্মবিরতির সময় এসব কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটে। এতে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

রোববার রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা আসে। সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা পুরোদমে কাজে ফিরেছেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন বলেন, “শুল্কায়ন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বন্দরের কাজ এখন গতি পাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ঈদের আগেই কনটেইনার জট অনেকাংশে কমে আসবে।”

হালনাগাদ কার্যক্রমের পরিসংখ্যান (সোমবার দুপুর পর্যন্ত):
বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার: ৪৩,৮২৭ টিইইউ

বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজ: ১৭টি, বহির্নোঙরে কনটেইনার: ২২,৬২৬ টিইইউ, জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে: ৯০১৬ টিইইউ কনটেইনার, নতুন নামা কনটেইনার: ৪৫২৫ টিইইউ, রপ্তানি কনটেইনার উঠানো: ৪৪৯১ টিইইউ, আমদানিপণ্য ডেলিভারি: ১৩৪০ টিইইউ।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, “চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজারের বেশি। এখন আমাদের কাছে সাড়ে ৪৩ হাজার রয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক চলছে। কাস্টমস কর্মবিরতির প্রভাব অনেকাংশে কাটতে শুরু করেছে। ঈদের আগেই আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারব।”

শুল্ক কার্যক্রম পুনরায় সচল হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তবে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে কিছুটা। আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে এখন দরকার সমন্বিত উদ্যোগ ও স্থায়ী সমাধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট, বহির্নোঙরে ১৭ জাহাজ

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

কাস্টমস কর্মকর্তাদের টানা ১১ দিনের কর্মবিরতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্টি হওয়া কনটেইনার জট ও জাহাজ জটিলতা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত বন্দরের অভ্যন্তরে ৪৩,৮২৭টি টিইইউ কনটেইনার জমে আছে, যার মধ্যে ৫,৭৪৭টি খালি কনটেইনার। আর বহির্নোঙরে ১৭টি জাহাজে রয়েছে ২২,৬২৬টি টিইইউ কনটেইনার, খালাসের অপেক্ষায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে ১৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন। এতে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আমদানি পণ্যের খালাস থেমে যায় এবং বন্দরে কনটেইনারের স্তূপ তৈরি হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৭,০০০-এর বেশি বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হলেও কর্মবিরতির সময় এসব কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটে। এতে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

রোববার রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা আসে। সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা পুরোদমে কাজে ফিরেছেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন বলেন, “শুল্কায়ন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বন্দরের কাজ এখন গতি পাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ঈদের আগেই কনটেইনার জট অনেকাংশে কমে আসবে।”

হালনাগাদ কার্যক্রমের পরিসংখ্যান (সোমবার দুপুর পর্যন্ত):
বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার: ৪৩,৮২৭ টিইইউ

বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজ: ১৭টি, বহির্নোঙরে কনটেইনার: ২২,৬২৬ টিইইউ, জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে: ৯০১৬ টিইইউ কনটেইনার, নতুন নামা কনটেইনার: ৪৫২৫ টিইইউ, রপ্তানি কনটেইনার উঠানো: ৪৪৯১ টিইইউ, আমদানিপণ্য ডেলিভারি: ১৩৪০ টিইইউ।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, “চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজারের বেশি। এখন আমাদের কাছে সাড়ে ৪৩ হাজার রয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক চলছে। কাস্টমস কর্মবিরতির প্রভাব অনেকাংশে কাটতে শুরু করেছে। ঈদের আগেই আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারব।”

শুল্ক কার্যক্রম পুনরায় সচল হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তবে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে কিছুটা। আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে এখন দরকার সমন্বিত উদ্যোগ ও স্থায়ী সমাধান।