আঙুর চাষের মাধ্যমে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন জীবননগরের দুই ভাই

- আপডেট সময় ১২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
- / 9
দেশে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আঙুর চাষ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে। এখানকার তরুণ উদ্যোক্তা দুই ভাই, আশরাফুল ইসলাম (৩৮) ও তরিকুল ইসলাম (৩৫), সাড়ে তিন বিঘা জমিতে সফলভাবে বিদেশি আঙুর চাষ করেছেন। এর আগে অনেক চাষি আঙুর চাষে ব্যর্থ হলেও এবার তারা সফল হয়েছেন।
এক বছর আগে তারা এই জমিতে আঙুরের চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যে প্রতিটি গাছে প্রচুর ফল এসেছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে আঙুরের বাজারজাতকরণ শুরু হবে। আঙুর ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল এবং প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে শতশত টন আঙুর আমদানি করা হয়। তবে এবার দেশেই প্রথমবারের মতো আঙুর চাষ হচ্ছে।
হাসাদাহ গ্রামের ভূষিপাড়া মাঠে এই বাগানে তারা পার্পেল ও বাইকুনুর জাতের ৭৫০টি চারা রোপণ করেছেন। বর্তমানে বাঁশের মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সবুজ আঙুর, যা পরিপক্ক হয়ে লাল হবে এবং রসালো ও মিষ্টি হবে।

বাগানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় করছেন। আশরাফুল ইসলাম জানান, তাদের ৩৮ বিঘা জমিতে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে। আঙুরের বাগান করার সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে নতুন ফলের চাষের আগ্রহ।
তিনি বলেন, “দুই বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। ফল মিষ্টি হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ শুরু করেছি। আশা করছি, প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৫ কেজি আঙুর হারভেস্ট করতে পারব এবং মোট ২০ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি করতে পারব।”
বাগানের দর্শনার্থী ঝিনাইদহ শহরের সবুর খান বলেন, “ফেসবুকে বাগানের সফলতার গল্প শুনে এখানে এসেছি। এমন সফলতা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।”
বাগানে কর্মরত শ্রমিক হাসেম আলী জানান, আঙুর বাগানের কারণে অনেক শ্রমিক এখন কাজের সুযোগ পেয়েছেন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “জীবননগরের মাটি আঙুর চাষের জন্য উপযোগী। চলতি বছরে ৩০ বিঘা জমিতে আঙুর চাষ হয়েছে, যার মধ্যে আশরাফুল ইসলামের বাগানে সবচেয়ে বেশি ফল এসেছে। আশা করা হচ্ছে, তারা লাভবান হবেন।”