ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫ সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত অন্তত ২০ শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আজহার মাহমুদ স্থলবন্দরে রয়েছে নিরাপত্তায় ঘাটতি, আছে চোরাচালানের অভিযোগ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতের উত্তেজনা, নিরাপত্তা জোরদার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস মধ্যরাতে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বিভিন্ন সংগঠনের অবস্থান, ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সারা ক্যাম্পাস জুড়ে টানটান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সূত্র জানায়, একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে রূপ নেয়। ঢাবির বিভিন্ন আবাসিক হল ও সংলগ্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট দাবি বা ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন। তবে আন্দোলনের কারণ সম্পর্কে একেকজন একেক ধরনের মত প্রকাশ করেছেন। কেউ বলছেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ; আবার কেউ বলছেন, নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে, পাশাপাশি প্রশাসনের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা বারবার নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজ আমরা চুপ থাকব না।”
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “এটি শুধু আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লড়াই।”
শিক্ষার্থীদের স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে, এবং মধ্যরাত পর্যন্ত তারা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়। প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনছি এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাই। অস্থিতিশীলতা কোনো সমাধান নয়।”বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে থাকে।
✔ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়।
✔ টহল বাড়ানো হয় এবং সন্দেহভাজন যেকোনো তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
✔ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মধ্যরাতের উত্তেজনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা লাইভ ভিডিও, ছবি ও পোস্টের মাধ্যমে ঘটনাটি তুলে ধরেন। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে। যদিও রাতের উত্তেজনা কিছুটা কমেছে, তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নেওয়া হবে এবং পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মধ্যরাতের উত্তেজনা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত সমাধান করা না হলে, পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান আলোচনা কি ফলপ্রসূ হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতের উত্তেজনা, নিরাপত্তা জোরদার

আপডেট সময় ০২:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস মধ্যরাতে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বিভিন্ন সংগঠনের অবস্থান, ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সারা ক্যাম্পাস জুড়ে টানটান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সূত্র জানায়, একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে রূপ নেয়। ঢাবির বিভিন্ন আবাসিক হল ও সংলগ্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট দাবি বা ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন। তবে আন্দোলনের কারণ সম্পর্কে একেকজন একেক ধরনের মত প্রকাশ করেছেন। কেউ বলছেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ; আবার কেউ বলছেন, নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে, পাশাপাশি প্রশাসনের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা বারবার নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজ আমরা চুপ থাকব না।”
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “এটি শুধু আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লড়াই।”
শিক্ষার্থীদের স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে, এবং মধ্যরাত পর্যন্ত তারা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়। প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনছি এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাই। অস্থিতিশীলতা কোনো সমাধান নয়।”বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে থাকে।
✔ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়।
✔ টহল বাড়ানো হয় এবং সন্দেহভাজন যেকোনো তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
✔ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মধ্যরাতের উত্তেজনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা লাইভ ভিডিও, ছবি ও পোস্টের মাধ্যমে ঘটনাটি তুলে ধরেন। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে। যদিও রাতের উত্তেজনা কিছুটা কমেছে, তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নেওয়া হবে এবং পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মধ্যরাতের উত্তেজনা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত সমাধান করা না হলে, পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান আলোচনা কি ফলপ্রসূ হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।