১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

পাহাড়ে সরিষা ফুলের মধুর ব্যাপক ফলন, টেকনাফের চাকমা কৃষকদের সাফল্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 91

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি জমিতে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন চাকমা কৃষকেরা। মৌমাছির সহায়তায় আহরিত খাঁটি মধু বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।

টেকনাফের হোয়াইক্যং হরিখোলা এলাকায় চাকমা পল্লির ৮ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে এ বছর সরিষা চাষ শুরু হয়। নারী-পুরুষ মিলে দিনরাত জমিতে কাজ করছেন। বিশেষ করে নারীরা সক্রিয়ভাবে সরিষার পরিচর্যা ও মধু সংগ্রহের কাজে যুক্ত রয়েছেন। ক্ষেতের চারপাশে বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স, যেখানে মৌমাছিরা সরিষার ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে মধু উৎপাদন করছে। জানা গেছে, প্রতিটি বাক্স থেকে দুই মাসে ১০ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষক তাইনচাও চাকমা বলেন, ‘‘ধান ও শাকসবজির পর এ বছর সরিষা চাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। লক্ষ্য একদম খাঁটি ও ভালো মানের মধু উৎপাদন করা। আমি ৩৩ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি এবং সেখান থেকে প্রথমবারের মতো মধু সংগ্রহ করছি। বর্তমানে ১ কেজি মধুর বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার টাকা, যা আমাদের জন্য বেশ লাভজনক।’’

এ বিষয়ে হোয়াইক্যংয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সরুওয়ার কাদের জয় জানান, ‘‘এ বছর রবি মৌসুমে চাকমা পল্লিতে ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। একটি মৌ-বাক্স থেকে দুই মাসে প্রায় ১০-১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। প্রতিটি বাক্সে প্রায় সাতটি চাক থাকে, যেখানে মৌমাছিরা ফুলের রস জমা রাখে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘টেকনাফ উপজেলায় প্রথমবারের মতো সরিষার সাথে মধু চাষের এই সফল উদ্যোগ চাকমা কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। প্রায় ২০-২৫টি গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করছে, যেখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। এ প্রকল্পে চাকমা যুবকেরাও এগিয়ে আসছেন, যা ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে মধু উৎপাদনকে আরও প্রসারিত করবে।’’

সরিষা চাষ ও মধু উৎপাদনের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ পাহাড়ি এলাকায় কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। স্থানীয় কৃষকেরা আশা করছেন, সরকারের সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে এ উদ্যোগ আরও বৃহৎ পরিসরে সম্প্রসারিত হবে, যা চাকমা সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাহাড়ে সরিষা ফুলের মধুর ব্যাপক ফলন, টেকনাফের চাকমা কৃষকদের সাফল্য

আপডেট সময় ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি জমিতে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন চাকমা কৃষকেরা। মৌমাছির সহায়তায় আহরিত খাঁটি মধু বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।

টেকনাফের হোয়াইক্যং হরিখোলা এলাকায় চাকমা পল্লির ৮ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে এ বছর সরিষা চাষ শুরু হয়। নারী-পুরুষ মিলে দিনরাত জমিতে কাজ করছেন। বিশেষ করে নারীরা সক্রিয়ভাবে সরিষার পরিচর্যা ও মধু সংগ্রহের কাজে যুক্ত রয়েছেন। ক্ষেতের চারপাশে বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স, যেখানে মৌমাছিরা সরিষার ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে মধু উৎপাদন করছে। জানা গেছে, প্রতিটি বাক্স থেকে দুই মাসে ১০ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষক তাইনচাও চাকমা বলেন, ‘‘ধান ও শাকসবজির পর এ বছর সরিষা চাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। লক্ষ্য একদম খাঁটি ও ভালো মানের মধু উৎপাদন করা। আমি ৩৩ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি এবং সেখান থেকে প্রথমবারের মতো মধু সংগ্রহ করছি। বর্তমানে ১ কেজি মধুর বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার টাকা, যা আমাদের জন্য বেশ লাভজনক।’’

এ বিষয়ে হোয়াইক্যংয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সরুওয়ার কাদের জয় জানান, ‘‘এ বছর রবি মৌসুমে চাকমা পল্লিতে ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। একটি মৌ-বাক্স থেকে দুই মাসে প্রায় ১০-১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। প্রতিটি বাক্সে প্রায় সাতটি চাক থাকে, যেখানে মৌমাছিরা ফুলের রস জমা রাখে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘টেকনাফ উপজেলায় প্রথমবারের মতো সরিষার সাথে মধু চাষের এই সফল উদ্যোগ চাকমা কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। প্রায় ২০-২৫টি গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করছে, যেখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। এ প্রকল্পে চাকমা যুবকেরাও এগিয়ে আসছেন, যা ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে মধু উৎপাদনকে আরও প্রসারিত করবে।’’

সরিষা চাষ ও মধু উৎপাদনের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ পাহাড়ি এলাকায় কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। স্থানীয় কৃষকেরা আশা করছেন, সরকারের সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে এ উদ্যোগ আরও বৃহৎ পরিসরে সম্প্রসারিত হবে, যা চাকমা সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।