গরমে বিদ্যুৎ সংকট: লোডশেডিং নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে
শীত শেষ হলেও এখনও প্রকৃতিতে শীতল হাওয়ার প্রভাব রয়ে গেছে। তবে ধীরে ধীরে গরম বাড়বে, এবং তাতে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদাও। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, গ্রীষ্মে লোডশেডিং এর শঙ্কা জনগণের মধ্যে দৃঢ় হয়ে উঠেছে।
এবারের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে। যদিও বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট, তবুও জ্বালানি সংকট ও বিপুল দায়দেনার কারণে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, গ্রীষ্মকালে ৭০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রমজানে লোডশেডিং এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনায় গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েল এবং ভারতীয় আদানি গ্রুপের উপর নির্ভরশীলতা প্রধান অংশ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে, গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে ৬২০০ মেগাওয়াট, কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট এবং আদানি গ্রুপের আমদানির মাধ্যমে কিছুটা চাহিদা পূরণ করা যাবে। তবে, অর্থনৈতিক সংকট এবং গত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ৭০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, “ডলার সংকটই বড় সমস্যা। ডলার না থাকলে প্রয়োজনীয় জ্বালানি কেনা সম্ভব হবে না।” বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডলার সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, আর প্রস্তুতি না থাকলে লোডশেডিং এড়ানো কঠিন।
পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, “প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি, এবং আশা করছি বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় হবে না।