ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুসলিম দেশগুলোকে লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৫৪২ জাতীয় ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা জরুরি: বদিউল আলম প্রখ্যাত সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা আর নেই আন্তর্জাতিক অপরাধে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ থাকবে: অ্যাটর্নি জেনারেল পঞ্চগড়ে বিএসএফের পুশইন, নারী-পুরুষ-শিশুসহ আটক ১৫ জন সিরিজ বাঁচাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের, দলে দুই পরিবর্তন গণমাধ্যম সংস্কারে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে সরকার: প্রেস সচিব মালয়েশিয়ায় উগ্রপন্থি সংগঠনের অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার আলোকে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি হয়ে গেছে, তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে পারছে না কেন্দ্রটি।

গত ২০ জুন রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল চুক্তিতে প্রথম ইউনিটের কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নতুন চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ইউনিটের সময়সীমা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় ইউনিটের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

পরমাণু শক্তি কমিশন জানিয়েছে, শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেড় বছর সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছিল। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। পরে মন্ত্রণালয় আরও ছয় মাস সময় বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করে। তবুও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কারিগরি কারণে এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. কবীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, প্রকল্পে নতুন করে কোনো দেরি হয়নি। মহামারি ও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আগের কিছুটা পিছিয়ে পড়া কাজ এখন স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর থেকেই ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে।

এদিকে রূপপুর প্রকল্পের ব্যয়ের একটি অংশ বহন করতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে, যা বার্ষিক বরাদ্দ অর্থের ১০ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে সেই অর্থও যথাসময়ে পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

চুক্তি অনুসারে, সময় বাড়লেও প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি করার অনুমতি নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু না হওয়ায় কেন্দ্রটি কোনো আয়ের মুখ দেখছে না। ফলে সরকারকে পরিচালন ব্যয় বহন করতে হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় ০২:০৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি হয়ে গেছে, তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে পারছে না কেন্দ্রটি।

গত ২০ জুন রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল চুক্তিতে প্রথম ইউনিটের কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নতুন চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ইউনিটের সময়সীমা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় ইউনিটের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

পরমাণু শক্তি কমিশন জানিয়েছে, শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেড় বছর সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছিল। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। পরে মন্ত্রণালয় আরও ছয় মাস সময় বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করে। তবুও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কারিগরি কারণে এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. কবীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, প্রকল্পে নতুন করে কোনো দেরি হয়নি। মহামারি ও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আগের কিছুটা পিছিয়ে পড়া কাজ এখন স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর থেকেই ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে।

এদিকে রূপপুর প্রকল্পের ব্যয়ের একটি অংশ বহন করতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে, যা বার্ষিক বরাদ্দ অর্থের ১০ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে সেই অর্থও যথাসময়ে পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

চুক্তি অনুসারে, সময় বাড়লেও প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি করার অনুমতি নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু না হওয়ায় কেন্দ্রটি কোনো আয়ের মুখ দেখছে না। ফলে সরকারকে পরিচালন ব্যয় বহন করতে হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।