০৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

রোহিঙ্গা সহায়তায় জরুরি তহবিল আহ্বান জাতিসংঘের: ৯৪ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান  

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 68

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের টিকে থাকা এখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। খাবার, জ্বালানি ও আশ্রয়ের মতো মৌলিক প্রয়োজন পূরণেও দেখা দিয়েছে বড় সংকট। এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) এবং আরও ১১৩টি সহযোগী সংস্থা মিলে ‘২০২৫-২০২৬ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ নামে দুই বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প শুরু করেছে। এর আওতায় রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম বছরেই প্রায় ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

বিজ্ঞাপন

সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের দাতাদের সভায় রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা। তারা জানান, মিয়ানমারের নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব শরণার্থীর বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা।

তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, গত আট বছরে বিশ্বমঞ্চে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেছে। জাতিসংঘ সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর ঘোষণাও দিয়েছে, যা এই বিপন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

জাতিসংঘের মতে, যদি তহবিল সংকটে রোহিঙ্গাদের ন্যূনতম খাবার, রান্নার জ্বালানি কিংবা আশ্রয় দেওয়া না যায়, তাহলে তা কেবল মানবিক বিপর্যয়ই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও হুমকির মুখে ফেলবে।

বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই পরিকল্পনার লক্ষ্য শুধু রোহিঙ্গাদের নয়, বরং আশ্রয়দানকারী স্থানীয় কমিউনিটিগুলোকেও সহায়তা প্রদান, যাতে টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সহায়তা না পেলে এই সংকট আরও গভীর হবে। তাই এখনই রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত জাতিসংঘের।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা সহায়তায় জরুরি তহবিল আহ্বান জাতিসংঘের: ৯৪ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান  

আপডেট সময় ১০:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের টিকে থাকা এখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। খাবার, জ্বালানি ও আশ্রয়ের মতো মৌলিক প্রয়োজন পূরণেও দেখা দিয়েছে বড় সংকট। এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) এবং আরও ১১৩টি সহযোগী সংস্থা মিলে ‘২০২৫-২০২৬ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ নামে দুই বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প শুরু করেছে। এর আওতায় রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম বছরেই প্রায় ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

বিজ্ঞাপন

সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের দাতাদের সভায় রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা। তারা জানান, মিয়ানমারের নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব শরণার্থীর বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা।

তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, গত আট বছরে বিশ্বমঞ্চে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেছে। জাতিসংঘ সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর ঘোষণাও দিয়েছে, যা এই বিপন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

জাতিসংঘের মতে, যদি তহবিল সংকটে রোহিঙ্গাদের ন্যূনতম খাবার, রান্নার জ্বালানি কিংবা আশ্রয় দেওয়া না যায়, তাহলে তা কেবল মানবিক বিপর্যয়ই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও হুমকির মুখে ফেলবে।

বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই পরিকল্পনার লক্ষ্য শুধু রোহিঙ্গাদের নয়, বরং আশ্রয়দানকারী স্থানীয় কমিউনিটিগুলোকেও সহায়তা প্রদান, যাতে টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সহায়তা না পেলে এই সংকট আরও গভীর হবে। তাই এখনই রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত জাতিসংঘের।