ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টক-মিষ্টি তেঁতুল: পাহাড়ের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত, স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে নতুন সম্ভাবনা, কৃষকদের স্বপ্ন তেল উৎপাদন ঢাকার সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়: নাম চূড়ান্ত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোর তাণ্ডব: নিহত ৩৪, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা: ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে প্রস্তুতির নির্দেশ নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত ৩১, হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান রাশিয়ার লাকসামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই  আমাদের লক্ষ্য: সিইসি  ভয়েস অব আমেরিকার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত: ১,৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী সতর্কবার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে নতুন সম্ভাবনা, কৃষকদের স্বপ্ন তেল উৎপাদন

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা দেখে চাষিরা এই সোনালি ফসলে ঝুঁকছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় উৎপাদিত সূর্যমুখী তেল বাজারে কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে টেকনাফ সদর, সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। জানুয়ারিতে বীজ বপন করে ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের শুরুতেই ফসল তোলা যায়। প্রান্তিক কৃষকরা মরিচ, আলু ও শাকসবজির পাশাপাশি এখন সূর্যমুখী চাষেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

দক্ষিণ লম্বরীর কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি এবার ৪০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদনের জন্য আধুনিক মেশিনের অভাব।’ তিনি মনে করেন, মেশিন থাকলে আরও বেশি কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হতেন।

হোয়াইক্যংয়ের আরেক কৃষক আলী আহমেদ জানান, প্রথমবারের মতো ধান, আলু ও সবজির পাশাপাশি সূর্যমুখী চাষ করেছেন। যদিও আগে অভিজ্ঞতা ছিল না, তবে অন্য চাষিদের কাছ থেকে শিখে ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ভালো ফল পাচ্ছেন। ‘যদি স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদন সম্ভব হয়, তাহলে কৃষকেরা আরও বেশি লাভবান হবে,’ বলেন তিনি।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার মাটি ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযুক্ত। কৃষকেরা ইতোমধ্যে এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, আমরাও তাদের পাশে আছি।’ তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে কৃষকদের সুবিধার্থে টেকনাফেই আধুনিক তেল উৎপাদনের মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগ সফল হলে, টেকনাফে সূর্যমুখী চাষ আরও জনপ্রিয় হবে এবং কৃষকদের নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
৫০১ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে নতুন সম্ভাবনা, কৃষকদের স্বপ্ন তেল উৎপাদন

আপডেট সময় ০৪:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা দেখে চাষিরা এই সোনালি ফসলে ঝুঁকছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় উৎপাদিত সূর্যমুখী তেল বাজারে কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে টেকনাফ সদর, সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। জানুয়ারিতে বীজ বপন করে ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের শুরুতেই ফসল তোলা যায়। প্রান্তিক কৃষকরা মরিচ, আলু ও শাকসবজির পাশাপাশি এখন সূর্যমুখী চাষেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

দক্ষিণ লম্বরীর কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি এবার ৪০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদনের জন্য আধুনিক মেশিনের অভাব।’ তিনি মনে করেন, মেশিন থাকলে আরও বেশি কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হতেন।

হোয়াইক্যংয়ের আরেক কৃষক আলী আহমেদ জানান, প্রথমবারের মতো ধান, আলু ও সবজির পাশাপাশি সূর্যমুখী চাষ করেছেন। যদিও আগে অভিজ্ঞতা ছিল না, তবে অন্য চাষিদের কাছ থেকে শিখে ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ভালো ফল পাচ্ছেন। ‘যদি স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদন সম্ভব হয়, তাহলে কৃষকেরা আরও বেশি লাভবান হবে,’ বলেন তিনি।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার মাটি ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযুক্ত। কৃষকেরা ইতোমধ্যে এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, আমরাও তাদের পাশে আছি।’ তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে কৃষকদের সুবিধার্থে টেকনাফেই আধুনিক তেল উৎপাদনের মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগ সফল হলে, টেকনাফে সূর্যমুখী চাষ আরও জনপ্রিয় হবে এবং কৃষকদের নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।