ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: ট্রাম্পের দাবি শপথ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ইশরাক হোসেন আবু সাঈদ হত্যা: এএসআই আমিরসহ ৪ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নবায়নে নতুন জটিলতা, বিপাকে পড়তে পারেন হাজারো বাংলাদেশি তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ: পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করনীয় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তায় পূর্ণ সমর্থন দেবে চীন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী খামেনিকে গুপ্তহত্যার আশঙ্কা!, সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ইসরায়েল হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি: জ্বালানি সংকটে বিপদে বাংলাদেশ ক্লাব বিশ্বকাপে গোলশূন্য রোমাঞ্চে আটকে গেল মেসির ইন্টার মায়ামি

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্ত: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

 

আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির যাত্রী, ক্রু সদস্য ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারাও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এওয়ান-১৭১ ফ্লাইটটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি মেঘানিনগর এলাকার বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিক কোয়ার্টারে ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।

বিমানটিতে ছিলেন মোট ২৪২ জন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বেঁচে ফিরেছেন কেবল একজন যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিকে অবস্থান করছিলেন অন্তত ১০ জন চিকিৎসক ও তাদের স্বজন, যারা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এছাড়া, ২৪ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে নিযুক্ত করা হয় শতাধিক কর্মী ও ৪০ জন প্রকৌশলী। দুর্ঘটনার পরদিন শুক্রবার মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। এটি বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণে কাজ করছে তদন্তকারী দল।

জানা গেছে, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ‘মেডে’ সংকেত পাঠান, যা সম্পূর্ণ বিপদের নির্দেশ দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের পর্যাপ্ত গতি না পাওয়া, বার্ড হিট অথবা ফ্ল্যাপ ও ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একমাত্র জীবিত যাত্রীসহ আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এই দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্ত: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪

আপডেট সময় ১২:১৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির যাত্রী, ক্রু সদস্য ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারাও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এওয়ান-১৭১ ফ্লাইটটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি মেঘানিনগর এলাকার বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিক কোয়ার্টারে ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।

বিমানটিতে ছিলেন মোট ২৪২ জন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বেঁচে ফিরেছেন কেবল একজন যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিকে অবস্থান করছিলেন অন্তত ১০ জন চিকিৎসক ও তাদের স্বজন, যারা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এছাড়া, ২৪ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে নিযুক্ত করা হয় শতাধিক কর্মী ও ৪০ জন প্রকৌশলী। দুর্ঘটনার পরদিন শুক্রবার মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। এটি বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণে কাজ করছে তদন্তকারী দল।

জানা গেছে, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ‘মেডে’ সংকেত পাঠান, যা সম্পূর্ণ বিপদের নির্দেশ দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের পর্যাপ্ত গতি না পাওয়া, বার্ড হিট অথবা ফ্ল্যাপ ও ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একমাত্র জীবিত যাত্রীসহ আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এই দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।