ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্ত: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

 

আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির যাত্রী, ক্রু সদস্য ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারাও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এওয়ান-১৭১ ফ্লাইটটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি মেঘানিনগর এলাকার বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিক কোয়ার্টারে ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।

বিমানটিতে ছিলেন মোট ২৪২ জন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বেঁচে ফিরেছেন কেবল একজন যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিকে অবস্থান করছিলেন অন্তত ১০ জন চিকিৎসক ও তাদের স্বজন, যারা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এছাড়া, ২৪ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে নিযুক্ত করা হয় শতাধিক কর্মী ও ৪০ জন প্রকৌশলী। দুর্ঘটনার পরদিন শুক্রবার মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। এটি বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণে কাজ করছে তদন্তকারী দল।

জানা গেছে, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ‘মেডে’ সংকেত পাঠান, যা সম্পূর্ণ বিপদের নির্দেশ দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের পর্যাপ্ত গতি না পাওয়া, বার্ড হিট অথবা ফ্ল্যাপ ও ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একমাত্র জীবিত যাত্রীসহ আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এই দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্ত: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪

আপডেট সময় ১২:১৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির যাত্রী, ক্রু সদস্য ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারাও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এওয়ান-১৭১ ফ্লাইটটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি মেঘানিনগর এলাকার বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিক কোয়ার্টারে ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।

বিমানটিতে ছিলেন মোট ২৪২ জন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বেঁচে ফিরেছেন কেবল একজন যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিকে অবস্থান করছিলেন অন্তত ১০ জন চিকিৎসক ও তাদের স্বজন, যারা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এছাড়া, ২৪ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে নিযুক্ত করা হয় শতাধিক কর্মী ও ৪০ জন প্রকৌশলী। দুর্ঘটনার পরদিন শুক্রবার মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। এটি বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণে কাজ করছে তদন্তকারী দল।

জানা গেছে, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ‘মেডে’ সংকেত পাঠান, যা সম্পূর্ণ বিপদের নির্দেশ দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের পর্যাপ্ত গতি না পাওয়া, বার্ড হিট অথবা ফ্ল্যাপ ও ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একমাত্র জীবিত যাত্রীসহ আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

এই দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।