ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯ দফা সংস্কারে ইসির দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন ইসি সচিব ঈদে বাড়বে যৌথবাহিনীর তৎপরতা, অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা  বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা ভুতুড়ে টিআরপিতে বিপাকে টিভি চ্যানেল, জবাবদিহির দাবি গণমাধ্যম কমিশনের তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

গাজায় ফের স্থল অভিযান, হামাসকে হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের- নিয়ন্ত্রণে নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে দখলদারিত্ব বাড়াতে সেনাবাহিনীকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। একই সঙ্গে, হামাসকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, সব জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজার অংশবিশেষ ‘চিরতরে’ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, “জীবিত ও মৃত সব জিম্মির প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান আরও তীব্র হবে। হামাস যতবার শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে, ততবারই তারা নতুন নতুন এলাকা হারাবে।”

তিনি জানান, আকাশপথ, সমুদ্রপথ এবং স্থলপথে একযোগে হামলার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ সামরিক তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাটজ আরও বলেন, “এই লড়াই চলবে যতক্ষণ না হামাসকে পরাজিত করা যায় এবং জিম্মিরা ঘরে ফেরে।”

বর্তমানে গাজায় অন্তত ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪ জন এখনো জীবিত এমনটাই বিশ্বাস করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় একটি তিন ধাপের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল ও হামাস। যদিও প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার পর বাকিটা নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজার পরিস্থিতি।

নতুন করে শুরু হওয়া এই অভিযান গাজায় মানবিক সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে ইসরায়েল বলছে, তাদের লক্ষ্য ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং ‘জিম্মিদের উদ্ধার’। অপরদিকে হামাস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

গাজায় ফের স্থল অভিযান, হামাসকে হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের- নিয়ন্ত্রণে নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ

আপডেট সময় ০৫:৩৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে দখলদারিত্ব বাড়াতে সেনাবাহিনীকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। একই সঙ্গে, হামাসকে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, সব জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজার অংশবিশেষ ‘চিরতরে’ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, “জীবিত ও মৃত সব জিম্মির প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান আরও তীব্র হবে। হামাস যতবার শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে, ততবারই তারা নতুন নতুন এলাকা হারাবে।”

তিনি জানান, আকাশপথ, সমুদ্রপথ এবং স্থলপথে একযোগে হামলার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ সামরিক তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাটজ আরও বলেন, “এই লড়াই চলবে যতক্ষণ না হামাসকে পরাজিত করা যায় এবং জিম্মিরা ঘরে ফেরে।”

বর্তমানে গাজায় অন্তত ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪ জন এখনো জীবিত এমনটাই বিশ্বাস করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় একটি তিন ধাপের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল ও হামাস। যদিও প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার পর বাকিটা নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজার পরিস্থিতি।

নতুন করে শুরু হওয়া এই অভিযান গাজায় মানবিক সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে ইসরায়েল বলছে, তাদের লক্ষ্য ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং ‘জিম্মিদের উদ্ধার’। অপরদিকে হামাস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।