ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

ইসরায়েলের আগ্রাসনে দ্বিখণ্ডিত গাজা, ৪৮ ঘণ্টায় ঝরে গেল ১৮৩ শিশুসহ ৪৩৬ প্রাণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 53

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজার নেটজারিম করিডোর ফের দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা, যার ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে অঞ্চলজুড়ে ফিলিস্তিনিদের চলাচল কঠিন হয়ে গেছে। গত মাসে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে গেলেও, নতুন করে আগ্রাসন চালিয়ে তারা আবারও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। একের পর এক বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮৩ শিশু রয়েছে।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা তাহের আল-নোনো জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলা সত্ত্বেও আলোচনার পথ তারা বন্ধ করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, নতুন কোনো চুক্তির প্রয়োজন নেই, কারণ আগেই একটি চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল একতরফাভাবে তা লঙ্ঘন করছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, এই হামলা ‘শুধু শুরু’ এবং এখন থেকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা গোলাগুলির মধ্যেই চলবে। তার এই বক্তব্য নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৫৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৯ জন আহত হয়েছেন। গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বহু মানুষের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০-র বেশি মানুষ অপহৃত হন। সেই ঘটনার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ভয়াবহ যুদ্ধ।

বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাষ্ট্রনেতারা যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানালেও, সংঘাতের তীব্রতা বাড়ছে। গাজাবাসী চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে, আর আন্তর্জাতিক মহল এখনও কার্যকর কোনো সমাধান দিতে ব্যর্থ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের আগ্রাসনে দ্বিখণ্ডিত গাজা, ৪৮ ঘণ্টায় ঝরে গেল ১৮৩ শিশুসহ ৪৩৬ প্রাণ

আপডেট সময় ১০:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

গাজার নেটজারিম করিডোর ফের দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা, যার ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে অঞ্চলজুড়ে ফিলিস্তিনিদের চলাচল কঠিন হয়ে গেছে। গত মাসে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে গেলেও, নতুন করে আগ্রাসন চালিয়ে তারা আবারও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। একের পর এক বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮৩ শিশু রয়েছে।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা তাহের আল-নোনো জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলা সত্ত্বেও আলোচনার পথ তারা বন্ধ করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, নতুন কোনো চুক্তির প্রয়োজন নেই, কারণ আগেই একটি চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল একতরফাভাবে তা লঙ্ঘন করছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, এই হামলা ‘শুধু শুরু’ এবং এখন থেকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা গোলাগুলির মধ্যেই চলবে। তার এই বক্তব্য নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৫৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৯ জন আহত হয়েছেন। গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বহু মানুষের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০-র বেশি মানুষ অপহৃত হন। সেই ঘটনার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ভয়াবহ যুদ্ধ।

বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাষ্ট্রনেতারা যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানালেও, সংঘাতের তীব্রতা বাড়ছে। গাজাবাসী চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে, আর আন্তর্জাতিক মহল এখনও কার্যকর কোনো সমাধান দিতে ব্যর্থ।