ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাজেকে শুরু হলো স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম ফাহমিদুল ইসলামকে আবার ডাক দিল বাফুফে: জাতীয় দলে নতুন আশা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদ ইসলাম লন্ডনে ডেপুটি সিভিক মেয়র নির্বাচিত “ফারাক্কার ফাঁদে বাংলাদেশ: বাঁধের পঞ্চাশ বছরের বেদনা ও বিপর্যয়।” আইপিএল পুনরায় শুরুর আগে ধাক্কা দিল্লীর শিবিরে, নেই স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ফেরেয়রা ভারত-পাকিস্তান চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে ৪৭,৪২০ হজযাত্রীর যাত্রা সম্পন্ন ঈদ উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, যাত্রীদের ভিড় ঢাকায় নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ডিএমপির নতুন উদ্যোগ

আজ বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক, প্রথম দলে এলডিপি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় আলোচনায় বসছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হবে।

সংলাপে এলডিপির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। দলে রয়েছেন মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন ও অধ্যাপক ওমর ফারুক।

জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রয়াসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর মতামত জানতে সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারসহ একাধিক কমিশন গঠন করা হয়। এসব কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংকলন করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই নিজেদের মতামত কমিশনে জমা দিয়েছে। তবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৩টি দল এখনো আনুষ্ঠানিক মতামত জানায়নি। বিএনপি আগামী সপ্তাহে নিজেদের বক্তব্য জানাবে বলে জানিয়েছে, আর জামায়াত ও এনসিপি আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করা হয়। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সংস্কার নীতিমালা নির্ধারিত হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক, প্রথম দলে এলডিপি

আপডেট সময় ১০:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় আলোচনায় বসছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হবে।

সংলাপে এলডিপির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। দলে রয়েছেন মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন ও অধ্যাপক ওমর ফারুক।

জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রয়াসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর মতামত জানতে সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারসহ একাধিক কমিশন গঠন করা হয়। এসব কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংকলন করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই নিজেদের মতামত কমিশনে জমা দিয়েছে। তবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৩টি দল এখনো আনুষ্ঠানিক মতামত জানায়নি। বিএনপি আগামী সপ্তাহে নিজেদের বক্তব্য জানাবে বলে জানিয়েছে, আর জামায়াত ও এনসিপি আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করা হয়। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সংস্কার নীতিমালা নির্ধারিত হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।