ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের

ম্যারাডোনার মৃত্যু : চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে সাক্ষ্য দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর প্রথম যে কজন সেখানে পৌঁছেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা লুকাস ফারিয়াস। গতকাল সান ইসিদরো আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন যে, মৃত্যুর সময় ম্যারাডোনার কক্ষে কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল না। অস্ত্রোপচারের পর যে বাড়িতে তিনি ছিলেন, সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অনুপস্থিতি তাঁকে বিস্মিত করেছে।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যারাডোনা না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর বুয়েনস এইরেসের এক ভাড়া করা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কোকেন ও মদ্যপানের আসক্তির কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থা এমনিতেই নাজুক ছিল।

ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত আটজনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিচার চলছে। আদালতে কৌঁসুলিরা তাঁর শেষ সময়কে বর্ণনা করেছেন “হরর থিয়েটার” হিসেবে। লুকাস বলেন, “আমি কোনো সিরাম বা প্রয়োজনীয় ওষুধ দেখিনি, যা সাধারণত একজন গুরুতর রোগীর জন্য প্রয়োজনীয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তবে সেটাও ছিল অপ্রতুল।”

পুলিশ কর্মকর্তার আরও বক্তব্য, “আমি যখন ম্যারাডোনার কক্ষে প্রবেশ করি, তাঁর মুখের অবস্থা এবং তলপেট এতটাই ফুলে ছিল যে মনে হচ্ছিল বিস্ফোরণ ঘটবে। ওভাবে তাঁকে দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম। কখনো ভাবিনি, এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হবে।”

সান ইসিদরো আদালতে গত সপ্তাহে এই বিচার শুরু হয়। লুকাসসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিদ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং রাতের পালার এক নার্স। দিনের শিফটে দায়িত্ব পালন করা এক নার্সের বিচার হবে আলাদাভাবে।

কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলার শিকার হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা। তাঁকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যখন তাঁর জন্য প্রয়োজন ছিল নিবিড় চিকিৎসা।

দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের আট থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে। এই মামলায় প্রায় ১২০ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যা চলতে পারে আগামী জুলাই পর্যন্ত। ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তিকে ঘিরে এমন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া এখন আর্জেন্টিনার আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ম্যারাডোনার মৃত্যু : চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে সাক্ষ্য দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা

আপডেট সময় ১২:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর প্রথম যে কজন সেখানে পৌঁছেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা লুকাস ফারিয়াস। গতকাল সান ইসিদরো আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন যে, মৃত্যুর সময় ম্যারাডোনার কক্ষে কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল না। অস্ত্রোপচারের পর যে বাড়িতে তিনি ছিলেন, সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অনুপস্থিতি তাঁকে বিস্মিত করেছে।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যারাডোনা না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর বুয়েনস এইরেসের এক ভাড়া করা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কোকেন ও মদ্যপানের আসক্তির কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থা এমনিতেই নাজুক ছিল।

ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত আটজনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিচার চলছে। আদালতে কৌঁসুলিরা তাঁর শেষ সময়কে বর্ণনা করেছেন “হরর থিয়েটার” হিসেবে। লুকাস বলেন, “আমি কোনো সিরাম বা প্রয়োজনীয় ওষুধ দেখিনি, যা সাধারণত একজন গুরুতর রোগীর জন্য প্রয়োজনীয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তবে সেটাও ছিল অপ্রতুল।”

পুলিশ কর্মকর্তার আরও বক্তব্য, “আমি যখন ম্যারাডোনার কক্ষে প্রবেশ করি, তাঁর মুখের অবস্থা এবং তলপেট এতটাই ফুলে ছিল যে মনে হচ্ছিল বিস্ফোরণ ঘটবে। ওভাবে তাঁকে দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম। কখনো ভাবিনি, এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হবে।”

সান ইসিদরো আদালতে গত সপ্তাহে এই বিচার শুরু হয়। লুকাসসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিদ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং রাতের পালার এক নার্স। দিনের শিফটে দায়িত্ব পালন করা এক নার্সের বিচার হবে আলাদাভাবে।

কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলার শিকার হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা। তাঁকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যখন তাঁর জন্য প্রয়োজন ছিল নিবিড় চিকিৎসা।

দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের আট থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে। এই মামলায় প্রায় ১২০ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যা চলতে পারে আগামী জুলাই পর্যন্ত। ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তিকে ঘিরে এমন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া এখন আর্জেন্টিনার আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হয়ে উঠেছে।