ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

এনআইডি ইস্যুতে ‘অপারেশনাল হল্ট’ স্থগিত, দাবি আদায়ে কঠোর হুঁশিয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঘোষিত ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করেছে ইসি কর্মকর্তাদের সংগঠন। তবে দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকা উচিত এ বিষয়ে ইসি থেকে সরকারের কাছে ও ঐকমত্য কমিশনে ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবও আমাদের বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় এনে এবং এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই বুধবারের ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।’

উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদা করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ‘ন্যাশনাল সিটিজেন ডেটা কমিশন’ নামে আলাদা একটি সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছিল। এসব উদ্যোগের বিরুদ্ধে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর আগে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেন।

ইসি কর্মকর্তাদের মতে, ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম একসূত্রে গাঁথা। ইসির আগের সংলাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষও এনআইডি কমিশনের অধীনেই রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন। তারপরও ২০২৩ সালে সরকার নতুন আইনের মাধ্যমে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন করার উদ্যোগ নেয়। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পরে ওই আইন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও এনআইডি পৃথক সংস্থায় নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে যদি দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়, তবে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব। তখন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এনআইডি ইস্যুতে ‘অপারেশনাল হল্ট’ স্থগিত, দাবি আদায়ে কঠোর হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৫:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঘোষিত ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করেছে ইসি কর্মকর্তাদের সংগঠন। তবে দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকা উচিত এ বিষয়ে ইসি থেকে সরকারের কাছে ও ঐকমত্য কমিশনে ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবও আমাদের বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় এনে এবং এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই বুধবারের ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।’

উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদা করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ‘ন্যাশনাল সিটিজেন ডেটা কমিশন’ নামে আলাদা একটি সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছিল। এসব উদ্যোগের বিরুদ্ধে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর আগে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেন।

ইসি কর্মকর্তাদের মতে, ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম একসূত্রে গাঁথা। ইসির আগের সংলাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষও এনআইডি কমিশনের অধীনেই রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন। তারপরও ২০২৩ সালে সরকার নতুন আইনের মাধ্যমে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন করার উদ্যোগ নেয়। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পরে ওই আইন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও এনআইডি পৃথক সংস্থায় নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে যদি দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়, তবে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব। তখন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।