বাংলাদেশের ২৩ জেলার ৭৪টি উপজেলা দুর্গম ঘোষণা, বাড়ছে ভাতা

- আপডেট সময় ১১:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 32
দেশের যোগাযোগব্যবস্থা ও ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্প্রতি ২৩ জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এসব এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমসহ অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনাকারীদের জন্য নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি ভাতা দেওয়া হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে দুর্গম এলাকার বিবেচনায় ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত পার্বত্য অঞ্চল, হাওর, দ্বীপ ও দূরবর্তী দুর্গম এলাকা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল হওয়ায় দায়িত্ব পালনে বাড়তি কষ্ট ও ব্যয় হয়। এ কারণেই নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতদের জন্য ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নতুন তালিকায় বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুরসহ পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের থানছি, রুমা, লামা, আলীকদম, নানিয়ারচর, বরকল, রাজস্থলী, লংগদু, কাপ্তাইসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা দুর্গম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা; নোয়াখালীর হাতিয়া; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া; হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশাসহ অন্যান্য হাওরাঞ্চলকেও এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে দুর্গম এলাকার তালিকা আরও বিস্তারিতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে। বিশেষ করে পার্বত্য, হাওর ও দ্বীপ অঞ্চলের কঠিন যোগাযোগব্যবস্থা, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে নতুনভাবে শ্রেণিকরণ করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকারীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর। দুর্গম এলাকার জনগণের জন্যও এটি ইতিবাচক, কারণ উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে আগ্রহী করে তুলবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।