ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩ সন্ত্রাসীসহ সর্বমোট নিহত ৫৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলায় ২১ যাত্রী নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সফল অভিযান চালিয়ে সকল যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। অভিযানে ৩৩ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তবে লড়াই চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের বোলান এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়। হামলাকারীরা ট্রেন থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ট্রেনটিতে প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন। অভিযান শেষে কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও, হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অভিযানের মাধ্যমে সব হামলাকারীকে নির্মূল করা হয়েছে।

এই নৃশংস হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আফগানিস্তানে অবস্থান করছিল।

নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীরা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল, যা অভিযানে চরম সতর্কতা অবলম্বনের অন্যতম কারণ।

এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসলাম, পাকিস্তান কিংবা বেলুচিস্তানের স্বার্থের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”

এই ভয়াবহ হামলা পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে বেলুচিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩ সন্ত্রাসীসহ সর্বমোট নিহত ৫৮

আপডেট সময় ০১:২০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলায় ২১ যাত্রী নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী সফল অভিযান চালিয়ে সকল যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। অভিযানে ৩৩ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তবে লড়াই চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের বোলান এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়। হামলাকারীরা ট্রেন থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ট্রেনটিতে প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন। অভিযান শেষে কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও, হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে ২১ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অভিযানের মাধ্যমে সব হামলাকারীকে নির্মূল করা হয়েছে।

এই নৃশংস হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আফগানিস্তানে অবস্থান করছিল।

নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীরা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল, যা অভিযানে চরম সতর্কতা অবলম্বনের অন্যতম কারণ।

এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসলাম, পাকিস্তান কিংবা বেলুচিস্তানের স্বার্থের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”

এই ভয়াবহ হামলা পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে বেলুচিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।