ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গুপ্তচরবৃত্তিতে মৃত্যুদণ্ড ও সম্পত্তি জব্দের আইন পাস করলো ইরান ময়মনসিংহে বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার পুতিন দিনের বেলায় সুন্দর কথা বলেন, রাতে সবাইকে বোমা মারেন: ট্রাম্প রাজধানীতে বাথরুমে ঝর্ণার সাথে ওড়না পেঁচানো গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শীর্ষ নেতাদের চরিত্রহননের অপচেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল নারীদের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রের দায়িত্ব: ড. আলী রীয়াজ সায়মা ও জয় পরিচালিত ফাউন্ডেশনের অনুদান ও আয়কর নথি চেয়ে এনবিআরে চিঠি ইংল্যান্ডের বিমানবন্দরে ছোট বিমান বিধ্বস্ত, ফ্লাইট চলাচল বন্ধ বান্দরবানে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ২ জনসহ ৩ নারী নিহত ইতিহাস গড়লো বিটকয়েন, প্রথমবারের মতো মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়াল

মালয়েশিয়া থেকে আড়াই লাখ অবৈধ অভিবাসী ফেরত: আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, চলমান অভিযান আরও তীব্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাচ্ছেন প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী, যাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের প্রবাসীরা। দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান সোমবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে, বিস্তারিত জানানো হয়নি বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা সম্পর্কে।

২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ লাখ।

প্রতিবেদনটি জানায়, মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে জরিমানা ধার্য করে অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়। অবৈধ প্রবেশকারীদের ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, মালয়েশিয়া সরকারের অভিবাসন পুলিশ অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা, অথবা বৈধ ভিসা ছাড়াই কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতে মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে।

এই কর্মসূচির আওতায় ফিরতে যাওয়া বেশিরভাগ অভিবাসীই কাগজপত্রবিহীন অথবা কর্মহীন। বিশেষ করে কলিং ভিসায় এসে সঠিক কাজ না পেয়ে অনেকেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদের অনেককে নানা প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে, কিন্তু সেখানে তাদের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থান পাওয়া যায়নি।

জাকারিয়া শাবান আরও জানান, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ অনুসারে, যেকোনো বিদেশি নাগরিক যদি এসব আইন ভঙ্গ করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ অভিবাসীরা উদ্বিগ্ন, এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়া থেকে আড়াই লাখ অবৈধ অভিবাসী ফেরত: আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, চলমান অভিযান আরও তীব্র

আপডেট সময় ০১:২০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

মালয়েশিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাচ্ছেন প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী, যাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের প্রবাসীরা। দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান সোমবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে, বিস্তারিত জানানো হয়নি বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা সম্পর্কে।

২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ লাখ।

প্রতিবেদনটি জানায়, মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে জরিমানা ধার্য করে অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়। অবৈধ প্রবেশকারীদের ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, মালয়েশিয়া সরকারের অভিবাসন পুলিশ অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা, অথবা বৈধ ভিসা ছাড়াই কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতে মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে, কারণ বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে।

এই কর্মসূচির আওতায় ফিরতে যাওয়া বেশিরভাগ অভিবাসীই কাগজপত্রবিহীন অথবা কর্মহীন। বিশেষ করে কলিং ভিসায় এসে সঠিক কাজ না পেয়ে অনেকেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদের অনেককে নানা প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে, কিন্তু সেখানে তাদের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থান পাওয়া যায়নি।

জাকারিয়া শাবান আরও জানান, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ অনুসারে, যেকোনো বিদেশি নাগরিক যদি এসব আইন ভঙ্গ করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ অভিবাসীরা উদ্বিগ্ন, এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশঙ্কা রয়েছে।