০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আসন্ন নির্বাচন হবে শতাব্দীর অন্যতম সুষ্ঠু ও অবাধ: ড. ইউনূস গার্ডিয়ানকে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ গণঅভ্যুত্থান ঘটে, যার পরিণতিতে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। আজ তিনি দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

ড. ইউনূস গার্ডিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে যে কোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে বাংলাদেশের নির্বাচন। তিনি এই নির্বাচনকে দেখছেন গত কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু হিসেবে। তবে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন আয়োজনে বড় বাধা সৃষ্টি করবে।

বিজ্ঞাপন

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. ইউনূস আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় দেশ ছিল এক ধ্বংসস্তূপ। রাস্তায় রক্ত, মর্গে স্তূপ করা মৃতদেহ, পুলিশের গুলিতে নিহত হাজারো প্রতিবাদী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসন ছিল এক ধরনের “ধ্বংসযজ্ঞ”, যেখানে প্রতিষ্ঠান, মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিগত কিছু বছরের শাসনে বাংলাদেশে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে এবং অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে। ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনার শাসন ছিল একদল ডাকাতের শাসন। তারা যেমন চেয়েছে তেমনভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে।”

তিনি ভারতের সমর্থনকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ গড়ার নামে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি দেশের অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

এদিকে, গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের প্রধান সমস্যা শুধু ভারত নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য পুনরায় নির্বাচিত হওয়া। তবে তিনি মনে করেন, ট্রাম্প বাংলাদেশকে “বিনিয়োগের ভালো সুযোগ” হিসেবে দেখতে পারেন। ড. ইউনূস বলেন, “তিনি যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে না চান, তবে বাংলাদেশের জন্য এটি ক্ষতিকর হবে। তবে, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আসন্ন নির্বাচন হবে শতাব্দীর অন্যতম সুষ্ঠু ও অবাধ: ড. ইউনূস গার্ডিয়ানকে

আপডেট সময় ০৩:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ গণঅভ্যুত্থান ঘটে, যার পরিণতিতে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। আজ তিনি দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

ড. ইউনূস গার্ডিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে যে কোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে বাংলাদেশের নির্বাচন। তিনি এই নির্বাচনকে দেখছেন গত কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু হিসেবে। তবে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন আয়োজনে বড় বাধা সৃষ্টি করবে।

বিজ্ঞাপন

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. ইউনূস আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় দেশ ছিল এক ধ্বংসস্তূপ। রাস্তায় রক্ত, মর্গে স্তূপ করা মৃতদেহ, পুলিশের গুলিতে নিহত হাজারো প্রতিবাদী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসন ছিল এক ধরনের “ধ্বংসযজ্ঞ”, যেখানে প্রতিষ্ঠান, মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিগত কিছু বছরের শাসনে বাংলাদেশে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে এবং অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে। ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনার শাসন ছিল একদল ডাকাতের শাসন। তারা যেমন চেয়েছে তেমনভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে।”

তিনি ভারতের সমর্থনকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ গড়ার নামে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি দেশের অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

এদিকে, গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের প্রধান সমস্যা শুধু ভারত নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য পুনরায় নির্বাচিত হওয়া। তবে তিনি মনে করেন, ট্রাম্প বাংলাদেশকে “বিনিয়োগের ভালো সুযোগ” হিসেবে দেখতে পারেন। ড. ইউনূস বলেন, “তিনি যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে না চান, তবে বাংলাদেশের জন্য এটি ক্ষতিকর হবে। তবে, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।”