ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্ভাব্য সময় অনুযায়ী, অক্টোবরে ভোটের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, “আমাদের নির্ধারিত সময়সীমা ডিসেম্বর। সেই লক্ষ্যেই সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি। যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্ধারিত টাইমলাইন অনুসারে যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সে বিষয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি।”
এ সময় জাতীয় নির্বাচনের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিইসি জানান, “প্রধান উপদেষ্টা যেদিন নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিন থেকেই নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই আসবে।”
ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে এক বৈঠকের বিষয়ে সিইসি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশন নির্বাচনী প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সিইসি বলেন, “আমরা প্রার্থীদের এজেন্ট ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে চাই। এ বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহায়তা চেয়েছি, এবং তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, সে বিষয়েও তারা জানতে চেয়েছে।”
বৈঠকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সহায়তা করতে চায়। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। ভোটার নিবন্ধন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পর্কেও তাদের অবহিত করেছি। নির্ধারিত সময়েই পর্যবেক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।”
তবে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান সিইসি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ধাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ইতোমধ্যে নির্বাচনী উত্তাপে সরগরম। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভোটাররা। এখন দেখার বিষয়, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয় কি না।