ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অডিট রিপোর্টে মানের ঘাটতি, বিনিয়োগে আস্থার বাধা: অর্থ উপদেষ্টা টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৯, নিখোঁজ দেড় শতাধিক শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দলীয়ভাবে গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা নাটোরের লালপুরে ইমো হ্যাকিং চক্র ও কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: গবেষণা চীন সফরে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক যাচাই, মামলার স্বচ্ছতা বাড়াবে: প্রসিকিউটর রাজশাহীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা, গ্রেফতার ৭

বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার এশিয়ায় সর্বোচ্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নতুন প্রতিবেদন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করা মেয়ের সংখ্যা ৫১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে, বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে, যা দেশের মেয়েদের জন্য একটি বড় সংকেত। শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউএন উইমেনের যৌথ প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১.৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই, আর ২৪ শতাংশ নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন বিয়ের আগে। কিশোরী মেয়েদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব এখন স্পষ্ট।

এছাড়া, ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ২৮ শতাংশ গত ১২ মাসে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। তাদের অধিকাংশই এখনও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নয়, ফলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তারা সচেতনভাবে সক্ষম নয়। মাত্র ৪৭ শতাংশ কিশোরী জানেন তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের ডিজিটাল দক্ষতার হার দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশসহ সাতটি দেশে এটি ২ শতাংশ বা তারও কম, যা ডিজিটাল জগতের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হতে পারে।

এই প্রতিবেদনটির মূল বার্তা হলো, কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে যথেষ্ট বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তন না হলে, তারা আরও দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকতে পারে। বিশেষ করে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। নারীশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের পাশাপাশি, বাল্যবিয়ের প্রবণতা কমানোর জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

যত দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশে নারীর অবস্থান শক্তিশালী হবে এবং দেশের উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার এশিয়ায় সর্বোচ্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নতুন প্রতিবেদন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ

আপডেট সময় ০১:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করা মেয়ের সংখ্যা ৫১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে, বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে, যা দেশের মেয়েদের জন্য একটি বড় সংকেত। শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউএন উইমেনের যৌথ প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১.৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই, আর ২৪ শতাংশ নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন বিয়ের আগে। কিশোরী মেয়েদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব এখন স্পষ্ট।

এছাড়া, ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ২৮ শতাংশ গত ১২ মাসে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। তাদের অধিকাংশই এখনও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নয়, ফলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তারা সচেতনভাবে সক্ষম নয়। মাত্র ৪৭ শতাংশ কিশোরী জানেন তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের ডিজিটাল দক্ষতার হার দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশসহ সাতটি দেশে এটি ২ শতাংশ বা তারও কম, যা ডিজিটাল জগতের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হতে পারে।

এই প্রতিবেদনটির মূল বার্তা হলো, কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে যথেষ্ট বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তন না হলে, তারা আরও দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকতে পারে। বিশেষ করে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। নারীশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের পাশাপাশি, বাল্যবিয়ের প্রবণতা কমানোর জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

যত দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশে নারীর অবস্থান শক্তিশালী হবে এবং দেশের উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।