অর্থনৈতিক বিবেচনায় কনস্যুলেট গুটিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বজুড়ে প্রভাব কমার শঙ্কা

- আপডেট সময় ১১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
- / 44
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে পশ্চিম ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকায় প্রায় এক ডজন কনস্যুলেট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে দূতাবাসগুলোর কর্মীসংখ্যা কমানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় হ্রাস ও প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে থাকা মানবাধিকার, শরণার্থী, বৈশ্বিক ন্যায়বিচার, নারী অধিকার ও চোরাচালান প্রতিরোধসংক্রান্ত ব্যুরোগুলো একীভূত করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, এতে পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন আরও কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলাতন্ত্রকে ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে এই উদ্দেশ্যে তিনি একটি নির্বাহী আদেশও জারি করেছেন, যেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিকে সরকারি ব্যয় সংকোচনে মার্কিন ফেডারেল কর্মীবহরও ছোট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক মিশনগুলোকে স্থানীয় কর্মীসহ অন্তত ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের এ নীতিকে সমর্থন দিচ্ছেন ধনকুবের ইলন মাস্কও, যিনি সরকারি খাতে অকার্যকর ব্যয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউএসএআইডির মতো সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করা এবং কূটনৈতিক উপস্থিতি সংকুচিত করার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রভাব কমে যেতে পারে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মার্কিন সহায়তার অভাবে কৌশলগত শূন্যতা তৈরি হলে রাশিয়া ও চীন তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।
বিশ্বজুড়ে মার্কিন কূটনৈতিক উপস্থিতি কমানোর এই নীতি ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ও প্রভাব বজায় রাখতে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না।